একটা পাখি,
ডানা মেললো দূরবীন দিয়ে
দেখা কোনো এক শীতের শহরে,
যেখানে জীবনকে ধাক্কা দিয়ে চলতো মানুষ
জীবনের অর্থহীন ট্রেনে চাপা পড়া লাশের বহরে,
যেখানে সময়ের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে
কোন এক নামহীন নর্তকীর জলসাঘর
উঠতো নির্দয় আনন্দে ভরে,
আত্মাটা আসতো নেমে মেষ শাবকের ধড়ে,
তবুও গড়িয়ে পড়তো মুখে
এসিডের শিলা বৃষ্টি আচমকা মেঘে লটকানো ঝড়ে
শিশিরের ঝরে পড়ার বেদনা দেখেছো?
তেমনি ভেঙে যেত মন নর্তকীর দুঃসহ তেপান্তরে |
নর্তকী বলে ফেলে দেবে তাকে
কে বানিয়েছে এই ঝাপসা শহরের জলসাঘর,
একদিন যার মন দেখতো জোছনা রাতের আলতো চাদর,
তাকে আজও প্রতিদিন, পোড়া মাটির কয়লা
গায়ে মেখে ব্যবচ্ছেদ করে দুষ্ট চক্রের দুর্ভেদ্য আদর |
এটা কোনো মানুষের লাশ নয়
কখনো হতে পারেনা,
এটা ছিল স্বার্থের লাশ,
যেখানে নিষ্পাপ মন পুড়ে হতো ছাই
নিরাকার নির্ভাবনায়,
তারপরও
মানুষ তাকে কি বলা যায় মানুষ
যার হাতে বন্দি জীবন আর পরশ পাথরের
দুরন্ত ঘোড়ায়
পরে থাকে এক নির্জীব কালো অধ্যায় |
তবুও কিসের জীবনের ধাক্কা
যেখানে মানুষ হয় জীবন,
মুখ দেখে বর্ণিল শুভদিন
যেদিন আসবে ফিরে মানুষের শহরে মানুষের
চাপা চাপা নিঃশ্বাস ভেদ করে এক কালজয়ী মায়াবী হরিণ
আর সময়, জীবনকে খুঁজে নিয়ে
মানুষের শহরে মানুষ হবে স্বাধীন;
চেয়ে থাকি স্বপ্ন দেখি
সেই মাহেন্দ্রক্ষণের
প্রতিদিন |