মানুষকে চেনা বড় দায়
ধোঁকা দিয়ে সে জীবনের নাটাই ঘুরায় |
তারপর নিঃশব্দে হাসে আর মানুষকে অসহায় ভেবে
মনের জ্বলন্ত আগুনে সে মানুষকে পোড়াতে চায়,
আর নিজের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর থাকে মিথ্যে প্রচেষ্টায়
সব কিছু দেখে যায় কতগুলো মুক্ত মুখ তীব্র ঘৃনায়,
ইতিহাসের ছেড়া পাতা উঠে আসে মানুষকে জাগাবার আশায়,
যদি মানুষ আবার ফিরে পায়,
তীর ভাঙা নদীর কোনো শান্ত গাঁয়ে নির্ভেজাল ঠাঁয় |
বাহিরটা সবাই দেখে মানুষের
আর ভিতরটা যেন নরকের দাস,
জিঘাংসার উল্লাস আর
মূর্খের মতো হেসে মিথ্যে মায়ায় ভেসে
দিন শেষে জল্লাদ হয়ে উঠে কলকাঠির ঘোরানো
রাক্ষসের ক্রীতদাস |
বিদ্ধ করে মানুষের দেহ আঘাতে, মনেও আঘাত
আর নির্মম ইতিহাস পড়ে থাকে অবহেলায়
যেখানে লম্বা দড়ির সুতো বেঁধে গড়িয়ে ধরে ফাঁস
আবার সেই কাপুরুষ অবলীলায়,
দরবেশের হাসি আর্ত চিৎকার করে চেঁচিয়ে উঠে
পোড়া কপাল আমাদের ঘটেছে সর্বনাশ |
সময় বদলেছে
মানুষ বদলেছে
বদলেছে মন
তবু বদলায়নি মানুষের আপনজন
তাই যে নিজেকে লুকোতে চায় ধরা পরে যায় নিজের বিবেকের আড্ডায় |
অন্তরালে ঠান্ডা মাথা
পুতুল নাচের সুতো টানে হাত দিয়ে
জানেনা সে আয়নাটা আছে তার পিছনে
তার চোখের দেখা বাস্তবতার ঘাস
যা
নির্লিপ্ত দৃষ্টি নিয়ে গড়ে ইতিহাস
আর নির্বাক কণ্ঠে সমস্বরে বলে
তুমি ভেবেছো করেছো অন্যকে নাশ-বিনাশ,
তোমার আয়নায় ঘটে গেছে তোমার বিকৃত
চেহারার ঘুপটি মারা অবয়বের লংঘিত সর্বনাশ |
জেগেছে আজ মানুষ
যে মানুষ ছিল ঘুমন্ত অনেকদিন
আর তাদের কাছে সব কিছু ছলনা
আর তোমার অস্তিত্বে তোমার সত্তার বিলীন
অন্তহীন......
তারপরও চেয়ে থাকে স্বাধীনতা
মুক্ত আলোয় হবে অমলিন
মনে পরে যায় একাত্তরের দিন আর
ঊনসত্তরের অভ্যুত্থান
বায়ান্নর ভাষা শহীদের রক্তের দান
বঙ্গবন্ধুর কিংবদন্তির কণ্ঠস্বর
আর আগামী সম্ভাবনার দু হাত আকাশে মেলা জীবনের জয়গান
শুভ্র মনের আলতো আঁচড়,
আমাদের জীবনের শান্ত শহর,
মেঘমালায় যেন দীপান্তর
অপেক্ষার ভোর |