হারাবার কিছুই নেই আমার
সবকিছু কেড়ে নিয়ে
এখন যদি বলো,
অনেক কিছু পাবার আছে তোমার
তবে বলবো আমি কারো দাবার গুটি নই
যদি তাসের মতো খেলতে চাও আমাকে
খেলতে পারো,
কিন্তু সে খেলায় হয়তো তুমিই হয়ে যাবে
ছারখারও,
তারপরও
বলবো যদি পারো কলংকিত করো আমাকে
মাটিতে মিশিয়ে দাও,
ছুড়ে ফেলো আস্তাকুঁড়ে,
হয়তো সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে একটা নদী
যার পানির উত্তাপের আগুনে হয়তো যাবে পুড়ে
তোমার আজন্ম পাপের ঝলসিত আস্তিন
আর সময়ের ঘোড়ায় উঠে লাগামহীন
তোমার কল্পিত আয়নায় দেখবে সময় নিয়ন্ত্রণহীন
সভ্যতার উত্থান ঘটে গেছে চোখে পলকে
আর মানুষ হয়েছে স্বপ্নদর্শীর মতো স্বাধীন |
অপেক্ষা নাকি অপেক্ষা করে
মন্দ আর ভালোকে ভারসাম্যহীন করতে,
আমি ভারসাম্য হীনতার রোগে ভারাক্রান্ত হতে চাই
যেখানে তোমার সাজানো কাটার মালায়
আমার হাড় মাংসে রক্তের থাকবেনা বালাই
বলতে পারো বড় বাড় বেড়েছে শালায়
চৌদ্দ গোষ্ঠীর কষ্টি পাথরের
নষ্ট পাড়ায় |
যে হারিয়েছে সব কিছু
তাকে আর হারাবার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই
সে তো আজ সব কিছুর উদ্ধে,
হারাও যদি পারো আবার তাকে হারাও
তাকে মেরে ঝুলন্ত গাছে উঠিয়ে তার বিবেকের
মাংস পিন্ড থেকে মনুষত্বকে তাড়াও
তার আলোকিত মুক্তধারার মুখে
যত পারো তত বেশি তোমার ধ্বংসযজ্ঞের হাত বাড়াও |
হয়তো ভাবছো
সবকিছু পারবে তুমি
কিন্তু যার মুখে পরাজয়ের হাসি
তার জীবনের জানি, পারবেনা, সরাতে কখনো এক বিন্দু ভূমি |
যে লোভ লালসার উদ্ধে
যার মুখে অহিংসার বাণী
তাকে নিয়ে যদি পারো তবে করো
নির্বোধের মতো টানাটানি,
তোমার ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকবে ফুটন্ত বালির উপর
সেটাও ভালো করে জানি |
যে আগুনে হাত দিতে চাও
দিতে পারো
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই ভস্ম করতে পারো তাকে
কিন্তু যাকে আগুনের ভিতর ডুবিয়ে পুড়িয়েছো বার বার
সে এখন জানে পুরাতন শহরের বংশীবাদক তার
আর বরফের কঠিন শিলা থেকে তীব্র শীতে
নরকের যন্ত্রনা থেকে উঠে দাঁড়াবার |
এখন আর তার কিছুই অনুভূতি নেই
যে চামড়াকে নিয়ে বার বার করেছো খেলা
কিসের জীবন তার
সে শুধু বেঁচে আছে সত্যকে সাদা মনের ভিতরে ঢুকিয়ে
যারা ঘুমিয়ে আছে এখনো তাদের জাগাবার
নিয়ে এক সমুদ্র মহা সংগীতের অঙ্গীকার
ভাবতে পারো পোড়া কাঠ কয়লা তাকে
যাকে তোমার দংশিত সাপের বিষ
বানিয়েছে রক্ত মাংসের মানুষ আবার |