প্রাচীরটা তখন দাঁড়িয়েছিল
উপর থেকে তাকিয়ে দেখছিলো নক্ষত্র,
যেন সময়ের ঘোড়ায় চড়ে
কোনো এক প্রেয়সীর বিরহে
কলা পাতার সবুজ প্রান্তরে বোবার মতো,
পিন পতন নীরবতায় লিখবে এক কালজয়ী
যুগের না লেখা মনের উদ্বেগময় প্রেমপত্র |
কিন্তু সে তো কখনও প্রেমিক ছিলোনা
আর মানুষ তার কাছে ছিল ভেলকিবাজির মতো,
এখনো মুছে যায়নি দগদগে পুরোনো ক্ষতটা
তারপরও মৃত জীবনের কাছে পরিহাসের
রূপকথার কল্পনার রাশ টেনে ধরে
তা যেন এখনও জীবন্ত,
পাগলা হাতির মতো অশান্ত,
তবু যে মন স্বপ্নে গড়া তার নির্লোভ দেহ জাগ্রত কিংবা ঘুমন্ত |
আসলে সবাই নিজেকে বলে মানুষ
কিন্তু কজন মানুষ ,
সব তেলাপোকার মতো অপেক্ষায় আছে
কখন তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হবে,
নিজেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মির হাত থেকে সুকৌশলে
সরিয়ে নিয়ে মাটির পৃথিবীর আধিপত্য পাবে কবে,
হয়তো এটাকে বলতে পারো
চেনা মাতলামির কোনো গভীর তত্ত্ব,
ঝুলন্ত আত্মার মতো মিথ্যে কিংবা সত্য,
কোনো এক তারা নেভা রাতে
আদিম যুগের নিজের হাতেই পরাভূত হবে,
কেউ জানে হয়তো কিংবা ভাবনা ভেবেছে কবে,
খুব জটিল অংকের মতো এ সত্যটাও সাদা ধবধবে
নীরবে |
হাসছে উত্তাল প্রমত্তা নদীতে লঞ্চের মতো
ডুবিয়ে দিবে তাকে নীলনদে,
তবুও যে মানুষ বিরহের দহনে পুড়ে
পুড়ে হয়েছে ছাই,
তাকে আর কত ফার্নেসের তাপমাত্রায় পোড়ালে
একটা তরল মন থেকে তাকে চড়িয়ে দেওয়া যাবে
কঠিন যন্ত্রণার দায়
নির্দ্ধিধায় |
হয়তো তার উদাসী জীবন
হাফ ছেড়ে বেঁচে থাকবে আর
খুঁজে নিতে চাইবে
অন্য জীবন,
সে জীবন নয়
যে জীবন নিয়ে অন্যেরা খেলছে,
স্বপ্নরা কংক্রিটের প্রাচীরে ধুঁকে ধুঁকে মরছে,
আর নিজের সাথে নিজেই লড়ছে
ভাঙছে কিংবা গড়ছে |
তা থেকে এবার হবে উত্তরণ
যদি সেটা না করা যায়
তবে মরবে জীবন,
নরখাদকের হাতে বধ হবে হৃদয়
আর শংকিত মনে অচেনা সাজানো সাজায়
পালাবার পথ কোথায়
হয়তো আছে কিংবা নাই
মানুষ কি আসবে নাকি চলে যেতে চায় |
তারপরও যে জীবন লিখতো একদিন সময়ের
প্রেমপত্র,
সে ঘুরিয়ে দিবে জীবনের বাস্পায়িত সুখ
যত্রতত্র |
এখন সময় তরল মনের উন্মুক্ত প্রান্তর
যেখানে মানুষ, মানুষ হবে
যেখানে অশুদ্ধ চিন্তাদের বিসর্জন দিয়ে
উঠবে গড়ে শুভ দিনের শুভ চেতনার অক্ষর,
থাকবে মানুষের মনে মনের সুন্দর ঘর,
আর এক চিলতে পরশপাথর |