প্রতিদিন আমি যুদ্ধ করি নিজের সাথে
পরাজিত হই, নিস্তদ্ধ হই
থেমে থাকি
যেমন থেমে থাকে ইতিহাসের কালো অক্ষরের সাদা বই
তারপর হৈচৈ
চোখ দুটো উপরে তুলে তাকিয়ে দেখি নিজের ভিতরের কুকুরটাকে
হয়তো শব্দহীন, উলঙ্গ, উন্মাদ
কিন্তু তারচেয়েও ভয়ংকর কুকুর দেখি লাঠিয়ালদের চরে
যারা দাবি করে আমরাই মানুষ
কিন্তু মনুষত্ব বিক্রি করে পানির দরে সস্তা শরাবের নগ্ন জলসাঘরে |
খুব বড়ো নাকি মানুষ
নাকি বড়ো তার ভিতরের কামুক লোভী মন
আর লোকদেখানো অতি আবেগী অভিমান
সাধুবেশী শয়তান, খুব ভদ্র, ছিমছাম
যার দেমাকে মাটির পাহাড় ভেঙে নেমে আসে জারজ সন্তান
বাইরের নেংড়া কুকুরটাকে ধাওয়া দেয় যার কলংকিত মুখ
যে ধাওয়া খাওয়ার কথা তার ভিতরের কুকুরটার
তাকে আমি আর মানুষ বলিনা এখন সে ডারউইনের রূপান্তরবাদে
জীবন পেয়েছে মানুষের রক্ত চোষা ছারপোকার |
মুখে ফুলের মতো কথা
ভিতরে পাপিদের বসবাস
তারা মানুষ হতে পারেনা, হয় তারা জল্লাদ কিংবা বেনামি
কাঠের কফিনে মরে থাকা টিকটিকিদের ক্রীতদাস |
অনেক দেখেছি মানুষ
এখন আর মানুষ দেখিনা
যেখানে তাকাই সেখানেই কুকুর
সব যেন শেষ
জীবন, বিশ্বাস, উদারতা আর মধ্য দুপুরের পুকুর
নারীর জলছবি, নুপুর
আর বেহালার সুর
চিটাগুড় কিংবা সদ্য ভোরের গাছ কাটা খেজুর |
এখন আর দাম নেই মানুষের
দাম আছে একটা ছেঁড়া বিবেকের
যে প্রতিদিন ক্লান্ত হয়, চোখ বুজে রাখে
আর মানুষের ভিতরের কুকুর দেখে লজ্জায় মুখোশ খুলে
মুখ ঢেকে রাখে |
যেখানে কুকুর প্রভুভক্ত, সেখানে মানুষ অভিশপ্ত
তবে কি নেমে গেছে মানুষ
কোনো এক বনমানুষের আদিম গুহায়
যেখানে কুকুর হয় বিশ্বাসী মানুষ আর মানুষ
কুকুর হয়ে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে বেড়ায়
এক প্রাচীন সভ্যতা থেকে আরেক প্রাচীন সভ্যতার রাস্তায় |