আমি যদি নক্ষত্র হতাম
তবে মহাকাশ ছিঁড়ে আনতাম মহাকাল,
যেখানে মানুষের ধুমকেতুর মিছিলে
ঘুঁচে যেত গ্লানি আর জাদুকরের কৃত্রিম মায়াজাল,
তবু সবাই বলছে মানুষের আকাল পড়েছে আকাল,
যেমন সকাল গড়িয়ে দুপুর আর তারপর বিমর্ষ বিকাল,
যেখানে আকাশ খুঁজে মাটি আর মাটি খুঁজে পাতাল
এখনো সেখানে সিন্দাবাদের জাহাজ তুলে হাওয়াই উড়ানো পাল,
তবুও যেন মানুষ নিজের পিছে ঘুরে নিজেই টাল মাটাল |
আজকাল নাকি মানুষ বিক্রি হয়
মানুষের হাঁটে,
শরীরটা নয় ভিতরের বিবেকটা,
যেমন
ক্রীতদাসের অবরুদ্ধ যন্ত্রণাতে বিগব্যাংকের মতো ফাটে
জীবনের নদে কিংবা বাস্তবতার ঘাটে |
আজকাল নাকি স্বার্থরা মানুষের কাঁধে ভর করে
নাকি মানুষ স্বার্থের পিছে ঘুরতে ঘুরতে
একদিন মোমবাতির মিথ্যে আলোর আকর্ষণে
পুড়তে পুড়তে ধুঁকে ধুঁকে মরে |
কে জানে কেইবা বলতে পারে
সব নাকি আজ সাজানো নাটক
যেখানে মহানায়কের মৃত্যুর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে
কাপুরুষের বিশ্বাসঘাতক চোখ, কামুক মন
যেমন শকুনীদের পথে পড়ে থাকা অসহায় শবদেহের
চলে নির্বিচার ভোগ,
অনেকেই বলে এটা নাকি আজ গা সওয়া হয়ে গেছে
হাল ফ্যাশনের জামানায় এটাই নাকি
বিধস্ত পাজেরো গাড়ির মতো সুখের রোগ |
কিছুই বুঝেনা মন
তবে মন কি মানুষের পুড়ে যাবে মনের আগুনে,
যেখানে খরতাপ দগ্ধ হয় সাদা জলের
নিষ্পেষিত খুনে,
কিংবা পাতা ঝরা মানুষের
চাকচিক্যের নগরের ফাগুনে |
কিছুই বুঝেনা মন
তবুও হেঁটে যায় কোনো এক আলোকিত দিনের আশায়
যেখানে মানুষ হবে মানুষ
মন হবে মন
যেখানে জীবন থেকে সৃষ্টি হবে নতুন নতুন জীবন,
আর সাদা পদ্মের জলে রচিত হবে
ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর তীব্র কান্নার প্রতিধ্বনি সারাক্ষন,
উচ্চকিত কণ্ঠে ঘোষিত হবে
মানুষের আত্মদান, জীবনের জয়গান, প্রাণ মহাপ্রাণ
আর
আবার নিজেকে বিশুদ্ধ করার বিনম্র আহবান
অপেক্ষায় থাকে মানুষ
আর অপেক্ষায় থাকে কালজয়ী এক মহাসংগীতের
স্বপ্নদর্শী উত্থান |