আমার হৃদপিন্ডে মাথা রেখে কান পেতে শোনো
আমার শিকড়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছো
ধুক ধুক শব্দ ! কি বললে কোনো শব্দ নেই
তবে অপেক্ষা করো, আমি মৃত্যুর স্বর্গ থেকে
জীবনের নরকে টেনে নামাই আমাকে
জটিল সৃষ্টি তত্ত্বের বিস্ময়কর যন্ত্রণার
এক বিন্দু টপ টপ করে গড়িয়ে পড়া
কারুকাজ খচিত চন্দ্রালোকে |
খুব কষ্ট হচ্ছে আমার পৃথিবীর নরক যন্ত্রণার
তবু তুমি কান পেতে শুনবে বলে আত্মাটা হাত দিয়ে
ভিতরে ঢুকিয়ে ফিরে এসেছি আবার
মনে হলো ভূমিকম্পের মতো একটু নেড়েচড়ে উঠা
হালকা শরীরে একমুঠো ঝাকি দরকার
তারপর আবার সময় হলে কথা থাকবে পড়ে বরফে
ঢাকা মাটিতে-যদিও জীবন জাগবার
ফেরারি কৃষ্ণচূড়ার অলংকার |
এখন কি আমার হৃদ-স্পন্দন তোমার হৃদ-স্পন্দনে
শিকড়ের গন্ধ পাচ্ছে
অপেক্ষা করো হয়তো জেগে উঠবে আমার মৃতদেহ
তোমার ভালোবাসার প্রাণের জাগরণে
একটু কান পেতে আঁচ করো কিছুক্ষন
শব্দ বাজছে আবার থেমে গেয়ে আবার বাজছে
না থেমে গেছে চিরকাল কাঁচা মাংসের তূলে তুলে
লজ্জাবতীর আঁচলে কিংবা যাঁতাকলে |
তুমি তো বেঁচে ছিলে তুমিও কি মরে গেলে আমার
মখমলের শরীর, বুকে জন্মের দাগ সব কি ভুলে গেলে
এমন তো কথা ছিলনা
তবুও এমন হলো, এখনতো তোমার নীলাদ্রির জলে ডোবা
কণ্ঠ আমায় আর সেভাবে ডাকেনা
মন তাই ভেঙে যায়, তবু বাস্তবতা এসে দু' হাত বাড়িয়ে বলে
কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা |
সব যেন স্বার্থের খেলা
ভেসে উঠা জলহস্তীদের মতো জীবন বাজি রেখে
পসরা সাজায় এক অন্তহীন শুন্যতার চরে জেগে উঠা কোনো
ইতিহাসের জিনতত্বের জড়তা আর
কিংবা কষ্টের মেলা |
আবার দেখা হবে কোনো একদিন
যেদিন আসেনি ফিরে কিন্তু আসবে
জানি একদিন
পড়ে থাকা নীল রং আর জীবন খণ্ডহীন
অর্বাচীন নিশিদিন |