এতো চেনা
তবুও অচেনা
হয়তো কাঁচা পয়সায় মানুষের বাজারের ঘন বসতি
যেখানে
খরতাপে বিন্দু বিন্দু দূষিত বায়ু খদ্দের খুঁজে
যদি জৌলুস দেখিয়ে কাঠের কফিনে মিলে
স্বার্থের পাওনা কিংবা দেনা
তারপরও এক চিলতে নাগর দোলা
রূপ পাল্টে বলে খুব সহজে রং মহলে বিশ্বাস যায় কেনা |
রাত আসে, সময় কষ্ট পায়
যদি কোনো দুরন্ত ঘোড়ায় নগ্ন মানুষ
তার আমৃত্যু বিশ্বাস হারিয়ে বরফের লাটিম ঘুরায়
আর নারকেল গাছের কবিতার মতো সবুজ পাতায়
বিশ্বাসঘাতক মনগুলো গরম চায়ের মতো
বাতাসে বাস্প উড়ায়
সব যেন খেলার ভেতর খেলা
পাপের ভিতর পাপ
তবু নিঃশ্বাস খালি পায়ে আঁকড়ে ধরে চিরায়ত বিশ্বাস
চিৎকার করে মধ্য রাস্তায় এসে থমকে দাঁড়ায়
চোখে মুখে মোমের মতো মাখে অভিশাপের পরিহাস
তারপরও
নীরবতা হেটে বুক ফুলিয়ে বলে পাপ ছাড়েনা বাপ্
তখনও নীল আকাশ বৃষ্টিহীন
কিংবা কষ্টি পাথরের মতো নিরুত্তাপ |
এখন মানুষের মধ্যে মানুষের সন্ধান করি
যেমন ঘড়ি ঘুরন্ত কাটাকে বেঁধে রেখে সদ্যোজাত
শিশুর মতো বলে আমি তো সময়কে ধরে রাখি
যদি কখনো মানুষের মন সাদা হয়
জল রঙে যেমন ঝুলন্ত হিলিয়ামে ভরা বেলুনের মতো মানুষের মুখ আঁকি
আর সব হারিয়ে চেয়ে দেখি
আকাশ থেকে আকাশে ভেসে বেড়ানো শীতের বাড়ির পাখি |
সবাই বলে
এখন নাকি চোখে লোভ, মনে লোভ. বিশ্বাসে লোভ
খাঁটি কাঠ কয়লায় পোড়া মানুষ খুঁজে পাওয়া দুর্লভ
খুব সহজেই মাটি থেকে বেরিয়ে আসে অচেনা মুখ
এখনো খুঁজি দেশপ্রেমিক মন, মানুষ
বেঁচে থাকার অনর্থক শেকড় আর অসুখের সুখ |
এখনো হয়তো মানুষ হয়ে উঠা হয়নি আমাদের
হয়তোবা হবে কোনো এক নির্জন রাত্রিকে হাত পাখায় নেড়ে
যেখানে ধূমকেতু ফানুস উড়িয়ে মানুষ হয়ে ঘরে ফেরে |
পাহাড়ের উপর থেকে
আমার দেশের কাদা মাটিতে নেমে দেখতে চাই
দেশ প্রেমিকের মুখ, আমার সোনার বাংলাদেশ
যদি মানচিত্র
হৃদয়ে আমার
ছিঁড়ে বের করে আনতে রুদ্ধদ্বার আবেগ আবার
যেখানে মানুষ হবে মানুষ, স্বার্থ হবে নিঃস্বার্থ
যেখানে মিলবে সোনার মানুষের-
যারা শপথ নিতে চায় দেশ গড়বার
স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে
তারাবাতি হয়ে জোনাকির মতো হতে চায় আলো ছড়াবার
আর
বিশুদ্ধ জীবনের অপেক্ষা করে শুদ্ধ মানুষ বিবেকের ছাড়পত্র পাবার
এখন সময় অপেক্ষার
নিজেকে হারিয়ে খুঁজে পাবার
মতো নির্ভেজাল অহংকার
এটাই হয়তো সময়ে দাবি
আর কঠিন জীবন ঠেলে চলা নোনা ঘামের মানুষের দরকার |