আমাকে ভাবতে পারো একটা ঝুলন্ত বাঁদুড়
কিংবা নির্বাক অসহায় মানুষ,
যে পোড়া বালিতে দেখছে প্রতিদিন পৃথিবী
রকমারি দূষিত রক্তের ফুলে ফেঁপে উঠা ফুসফুস;
সবাই মুখোশ পড়ে লুকোতে চায় নিজের পরিচয়
অথবা টাকার কাছে বিক্রি হওয়া বিকৃত পরাজয়,
এটাই নাকি আজ হয়ে গেছে সমাজের রীতি
কেউ যদি সাহস করে বলতে চায়, এটা বিবেকের দায়বদ্ধতা নয়
এটাকে ভাবা যেতে পারে
ঘুনে ধরা সমাজের চাপা যন্ত্রনাদের আকুতির অবক্ষয়,
হয়তো ভালো মানুষেরাই মায়াবী শুকুনীদের
সমীকরণের সাজানো ষড়যন্ত্রে গভীর খাদে পড়ে চোর বদমাস হয়,
ভুয়া সংবাদের টুটি চেপে ধরা যন্ত্রনায়
সমসাময়িক ঘটনার শিকারে নন্দিত মুখ
নিন্দিত ভুতদের কাছে হয়তো সাময়িক মেনে নেয় পরাজয়
হতো তখন থেকেই শুরু হয় পৃথিবী ধ্বংসের মহাপ্রলয় |
লেনদেন চলে
চলে মাথার পিছনে অবৈধ কারবার,
তবু সময় সাক্ষী হয়, ইতিহাস জীবন্ত আত্মার মতো কথা বলে
আর রাতের আঁধারে অতি মানবদের বসে সাজানো দরবার
দুমড়ে মুচড়ে বেয়োনেটের আঘাতে নির্মম হয় মানুষের আকার,
যে মানুষরা স্বপ্ন দেখার আশা নিয়ে ব্যাকুল হয়
টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায় তাদের মন
আর টাকার খেলায় ভাঙে সুখের সংসার |
সবাই বলে ওরা ঘুষের অংকে পটকা মাছের পেট ফুলায়
কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায়
সব জগা খিচুড়ির মতো একাকার হয়ে যায়,
হয়তো তাদের দেখে খরগোশের মতো
অতি শান্ত প্রাণীরাও চাদরে মুখ লুকায়,
তবু জীবন তো বয়ে যায়
নিজের ঠিকানায়
যেখানে
সময় এসে বায়াস্কোপে চড়কিকে নাচায় |
নীল হয় মুখ
বাতাসে উড়ে সুখ,
শব্দ করে বলে জাগো বাহে কুনঠে সবাই,
বিষাক্ত নিঃশ্বাসে আছে যাদের চরিত্র নামায়
সেখানে লেখা হয়েছে ইবলিসের প্রলাপ
আর মনস্তাত্বিক চাপ,
তারা হতে পারে ভদ্রবেশী মহাপাপী
তবু বলতে চায় বোবা কান্না
পাপ ছাড়েনা বাপ্,
তবুও দূষিত উত্তাপ
পচন ধরা সমাজ
কাপুরুষের লাজ
আর শাড়ির নিচে নিষ্ঠুরতার ভাঁজ
অলস মস্তিষ্কের কুন্ঠিত অবগুন্ঠিত কাজ
হয়তো সেখানেই গাড়ির চাকা বাতাস ছাড়িয়ে
হয়েছে নির্ঘুম অস্থিরতর সমাজ |
তারপরও হিমাদ্রির বুক চিরে
বরফ খন্ড হাতে;
একমুঠো আগুন হাতে বলি,
সময় থাকতে সাধু হও সাবধান
নয়তো মায়াবী শিকলে তোমার দুর্নীতির উপাখ্যান
তোমার হাতেই লিখে দিবে বিধাতা
কিংবা প্রকৃতির অমোঘ বিচার
তোমার বদনাম |
হয়তো থাকবেনা পালাবার পথ
সময় হেটে উল্টে পাল্টে
হয়ে যাবে উল্টোরথ,
আর কাঙ্গালদের মহাভোজ |