বিদ্রুপ করে প্রকৃতি
থামিয়ে দিতে  চায়
তাদের, যারা
হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরে,
প্রতিদিন আদিম যুগের গুহায়
নিজের অস্তিত্ব হারায়
আর স্তম্ভিত  খোলা বাজারের পসরার মতো
নরকের পথে হাত বাড়ায় |
কি বলবে জীবন তাদের
যারা জীবনের মধ্যে নাই,
এক পা লাল আলতায়, রাঙা নুপুর
নিস্তব্ধ তবুও ভয়ংকর,
আরেক পা অভিশপ্ত কাগজের টুকরো
মানুষের চামড়ায় চাবুকের দাগ টেনে আক্রোশ করে
তারপর হালকা বাদামি রঙের বিলাস বহুল
চড়কিতে উঠে ভেঙে পড়ে
অগোচরে,
বিলুপ্ত কোনো শতাব্দীর ঘৃণিত ইতিহাসের মতো
পিছনের  চাকা যেখানে নিষ্ঠুরতায় হয় আহত,
কিংবা নিজের হতাশার যন্ত্রনায় ক্ষত বিক্ষত
অবিরত |
মানুষ তো অনেক কিছুই ভাবে
যেমন ভাবে অলস দুপুর,
অন্যের সর্বনাশ করবে বলে
অহংকারের পতন ঘটে কোন এক জলসা ঘরের
নগ্নতার আড্ডায়,
তারপরও প্রকৃতি ঘৃনায় লাল হয়
পাপিদের  খুঁজে পাপের শব্দহীন ঘন্টায়
আর কিম্ভুতকিমাকার মনটায়,
যেথায় কেউ আছে কেউ নাই
যেমন অবেলায়,
চার দেওয়ালে মানুষ আটকে যায়
ঝুলন্ত সত্তায় |
দিন যায়
সময় বদলায়,
প্রকৃতি  এবার জেগে উঠে আনন্দের
যাত্রা পালায়
যেখানে শেকড়ের মানুষ উঠে আসে
নির্ভেজাল শব্দে বিমোহিত হয়
পায়ের আওয়াজ খোঁজে
সেখানে সভ্য তারকারাজি ভরে যায় বিশুদ্ধতায়,
যে দায় তার নয়
সে দায় সুরের তরঙ্গে ভেসে যায়
কোনো এক নিভৃত মানুষের আবিরতায় |
প্রকৃতি তখনও বিরূপ
কিন্তু যার আছে এক টুকরো সাদা মন
আলোর মতন,
তাকায় আকাশে আর মন খুলে বলে যায়
ভালোদের প্রভু তুমি তুলে নাও
আর যারা না জেনে করে চলেছে পাপ
প্রভু তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও,
ওরা জানেনা ওরা কি করছে
তুষের আগুনে কেন মন পুড়ে মরছে
প্রকৃতি তো মানবজমিন,
চমকিত আলোড়িত
তবুও গড়ছে,
আর লড়ছে ক্লান্তিহীন
প্রতিদিন  |