যেখানে মনকে ধরা যায়না
মানুষকে ধরা যায়না
নিঃশ্বাস যেখানে দমকা হাওয়ায় তোলে ঘর
হয়তো কোনো বিশ্বস্ত বিশ্বাসঘাতকের চর
এরপর মেঘের আয়নায় কাঁচা পাকা মন বলতে চায়
এ কেমন বিপন্ন ধ্বংস স্তুপের শহর
কিংবা মৃতদেহ, গাছে লটকানো মানুষের হাড়, মাংস, ধড়
এতো কিছু বিস্ময়
তবুও থেমে থাকেনা দ্বিপ্রহর কিংবা সময়
সময়ের কিংবদন্তি কালো অক্ষর কিংবা
সংগীতের তাল, লয়
কিংবা ব্যাঙের পানিতে থই থই
জয় কিংবা পরাজয়
ক্ষোভ কিংবা বিনয় |
নক্ষত্রকে একদিন টেনে নামিয়েছিলাম পৃথিবীতে
খণ্ডিত বিখন্ডিত হলো মাটি
পাথর হলো মানুষের মন
দুরন্ত যাত্রায় সবাই স্বার্থপর কেউ নয় আপন
যেমন পিছনে ফিরে গেছে সভ্যতার আগুনে পোড়া
যাপিত জীবন |
মানুষ মানুষ বলে রাস্তা থেকে রাস্তায় ফেরিওয়ালার মতো
চিৎকার করেছি
কেউ কর্ণপাত করেনি
নিজের চিতার আগুনে পুড়ে নিজেই মরেছি
কেউ সততার শক্তিকে বুকে চেপে ধরেনি
মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ
আর চেনা অচেনা ইবলিশ
কেউ কথা রাখেনি বরং উত্তপ্ত উনুনের ঝলসিত অগ্ন্যুৎপাতে
মরচে ধরা মন মুখোশের মানুষ ছড়িয়েছে কালনাগিনীর বিষ |
তখনও আমি থেমে থাকিনি
বরং মাটির ভিতর থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি
মুখটা কুয়াশা  হয়েছে
বিন্দু বিন্দু রক্তের ছন্দ পতন ঘটেছে
আর মহাবিশ্বের মহাপ্রলয়
আমি চিৎকার করে বলেছি মানুষ চাই মানুষ
মন চাই মন
কিন্তু কেউ আসেনি বরং পাহাড়ের মতো কঠিন মন
তুমি নাকি মানুষ কিন্তু বলেছো হার মানো হাড়, নত হও
কিংবা বেছে নাও আত্মহনন
খরতাপে অগ্নিদগ্ধ তারার পতন |
অপেক্ষা আর অপেক্ষা
তারপর আমি
ফিরে আসি তৃষিত বসুন্ধরায়
মন আর মানুষ
আর কালজয়ী মহাতরঙ্গের অধ্যায়
মহানায়ক তুমি আবার এসো
যদি মন হারা মানুষ খুঁজে পাই |