যেইদিন ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস একসাথে হল বাংলায়
তারে কিছু কথা আমি লিখি এ পাতায়।
কালো কালো মেঘ জমে আকাশের গায়
গোধুলির  রবিটারে  ঢেকে দিয়ে যায়।
তারপরে নেমে এলো নীড় ভাঙ্গা ঝড়,
যেন পৃথিবী আঁধার হয়ে কাঁপে থর্‌ থর্‌ ।
পরপরে উগ্রমূর্তিরূপে ভয়াবহ এলো জলোচ্ছ্বাস,
যেন ছোবলের হানিতে সবকিছু করে নিল গ্রাস।
ঘর-বাড়ী, ক্ষেত-খামার প্রাণি ছিল যা
নিমিষেই একাকার হয়ে গেল তা।
শত শত লাশ চলে সমুদ্রে ভেসে,
বিষাদের কালো ছায়া নেমে এলো দেশে।
কোথাও নেই ঘর-বাড়ি, ধু ধু করে গাঁ,
মার পাশে শিশু কাঁদে বেঁচে নেই মা।
আধ মরা লোকে শোকে হাউমাউ করে কান্না,
চোখ বেয়ে জল আসে দেখে কার না ?
মা খোঁজে ছেলে তার জল ভরা চোখে
অসহায় শিশু কাঁদে মাকে হারা শোকে।
সেই নিদারুণ কান্নায় ভেঙ্গে যায় বুক,
হারায়েছে জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড়ে কত প্রিয় মুখ।
আজো যারা বেঁচে আছে নেই যার হাত,
ভিখারীর বেশে খোঁজে একমুঠি ভাত।
কোনদিনও ভুলব না বাংলার এই জলোচ্ছ্বাস,
আজো মনে ভেসে ওঠে শত শত মানুষের লাশ