নিশা,
কেন যেন শেষমেশ একা হতেই ইচ্ছে করে। একটা বিশাল মোঘল প্যাটার্নএর বাড়িতে আমি একা আছি। অরণ্যঘন বনরাজি তিনদিকে, এক দিকে বিস্তীর্ণ মাঠ, ওই দিকে খোলা.. দূরে পাহাড়।


আলাদা আলাদা রুমে রুটিনমাফিক আমি আছি। মিউজিকের জন্যে চিলেকোঠা...
ছবি আঁকার জন্যে দোতলার কোনার ঘরটা- অরণ্যঘেরা, বারান্দায় স্টোন কার্ভিংএর বেশ কিছু পোর্ট্রেইট...
বড় বড় ফ্লাওয়ারভাস...
কেন যেন ফুল আমার খুব বেশি ভালো লাগে না ! গাছ ভালো লাগে
আমিওতো একটা গাছ, দিনশেষে...
নিশা, তুমি থাকবে পাহাড়ের ওইদিকে, আরেকটা বাড়িতে। টিউলিপ ক্ষেতের পাশে আমাদের প্রতিদিন দেখা হবে, ইশারায় কথা ! শব্দের অন্তর্গত সুক্ষ্ণ একটা ভাব আছে, কথা বলার জন্যে শব্দ জরুরী না সব সময়...


তোমার চলে যাওয়া দেখছি দাঁড়িয়ে...
যতক্ষণ না পাহাড়ের নীলে মিলিয়ে যাচ্ছো !
এই আশ্চর্য স্বপ্ন পুরন করতে বারবার আমার পৃথিবীতে আসা।
জানি না আর কতবার এই মানুষজন্ম আমাকে তোমার কাছে এনে দাঁড় করাবে !
ভালো থেকো।


সায়ন্ত