অনেকক্ষণ বসে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করার মত-
অথচ ট্রেন, আসবার কথা ছিলো না !
সে তার গাছের আনাজ, দিঘীর হাস, মাঝে মাঝে কবিতা।
আমিও আমার চালান- পুঁজি, বাজারদর, মাঝে মাঝে কবিতা  !


কেমন হওয়া উচিত এসব সন্ধ্যেগুলো?
দূরে ল্যাম্পপোষ্ট, ছায়ামূর্তি, মাঝেমাঝে কবিতা ?
আমার চুরুটে আগুন নিভেছে তিনবার, মাঝেমাঝে কবিতা।


গল্পের চরিত্র আমি আর বিনিতা
বসে আছি, কিংবা বসিনি কোথাও; কোনো দূর্বাঘাসে
হয়ত ছাতিমের ছায়াই খুঁজেছি  
কিংবা আমাদের আলাপচারিতায় জন্ম নেয়া গাছের যতটুকু ছায়া পড়ে-
তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন ছিলো !


উপন্যাসের চরিত্রগুলোর অনুমতি নাই এত কথা বলার,
আমরা কিন্তু বলে ফেলেছি অভ্যন্তর খুলে- ঘৃহকোন
আর দেয়ালের খুটিনাটি ।


সে হেসে ওঠে, মনে হয় দূরে ট্রেন হুইসেল বাজিয়ে অন্যদিক দিয়ে কেটে পড়লো !
সে হেসে উঠলে উড়ে আসে আলোর ইন্দ্রজালে আটকে পড়া কতগুলো ঘাসফড়িং !