সেদিন হঠাৎ রাস্তার ধারে, দেখলাম ফোটা ফুল
টকটকে লাল গোলাপ নাকি, নাকি চোখের ভুল ।
থমকে গিয়ে চলার পথে, গেলাম তার কাছে
আদর যত্ন জল ছাড়া কি, গোলাপ গাছ বাঁচে !
কোথা থেকে এলো এ গাছ, মালিক তবে কে ?
বাড়ি ছেড়ে রাস্তার ধারে, রাখলো কেন সে !
এমন সময় হঠাৎ দেখি, ছেড়া জামা গায়
জলের ঘটি হাতে নিয়ে, আসলো খালি পায় ।
গাছের গায়ে হাত বুলিয়ে, ঢালল গোড়ায় জল
পাটকাটি তে বেঁধে সুতো,দিলো তাতে বল ।
অবাক চোখে দেখে তাকে, বলি ওরে ভাই
রাস্তায় কেন গাছ লাগালি, ঘর বাড়ি কি নাই ?
বললো আমি পথের ছেলে,রাস্তা আমার ঘর
সাহেব বাবুর বাড়িত দেখি, সাজানো থর থর
কত জাতের কত রঙ্গের, হরেক রকম গাছ
মন জুড়ানো ফুলের গন্ধ, প্রজাপতির নাচ ।
মুগ্ধ চোখে বাধল আশা, জাগলো মনে সাধ
চাইলেই আমি করতে পারি, নেই তো কোন বাঁধ ।
ইচ্ছে ফুলের বাগ বানাবো, সাজাবো চারপাশ
পৃথিবী কে বদলে দিয়ে, গড়বো সুখের বাস ।
ব্যস্ত পথের দুষ্টু শিশু, গড়তে সোনার বাগ
আমি কি আর থাকতে পারি, না বসিয়ে ভাগ ?
হাতটা ধরে বলি তাকে, নিবি তোর সাথে ?
নতুন করে গড়বো ভুবন, সবাই এক হাতে ।।