তোমার গান শুনলে আমার কণ্ঠ ক্ষীণ হয়ে যায়।
যেন আকাশটা অনেক কাছে চলে আসে।
সেই সাথে সূর্যটাও। আর মনে হয়
সে সূর্যের তেজে আজ আমার সারা দেহ ঝলসে যাবে।
আমি আর গভীরে যেতে পারি না।
মিথ্যে আশায় ভরা রূপকথাগুলো
পাষণ্ডকে ব্যথা দিলেও
ঐ শকুনগুলোর মনে একটুও আঁচড় কাটে না।


দীপায়নের খোলা চিঠিটা সামান্তার কাছে পৌঁছায়নি।
সেটি এসেছিল আমার কাছে।
কারন দীপায়নের মৃতদেহ পড়েছিল আমার দরজার সামনে।
আর তার বুকপকেটে ছিল সে চিঠি।
সে তার ভাঙ্গা প্লাস্টিকের প্রদীপটা বদলে
গৃহে একটি মোমবাতি নিয়ে যেতে চেয়েছিল।
তার জীবন প্রদীপ নিভে গেল শুধুই কিছু দৃষ্টির ভুলে।
আজ দীপায়নের প্রতিমূর্তি আমার গৃহে শোভা পায়।


আমি তোমার কণ্ঠস্বর শুনলে চমকে উঠি।
আমি তোমার পদচিহ্ন দেখে ভয় পাই।
মনে হয় যেন আকাশটা অনেক দূরে সরে গেছে,
আর সূর্যটা ক্রমশ কাছে চলে আসছে।
সূর্য কখনো আমার হাতে ধরা দেবে না।
কারন এ সূর্য শুধু উত্তাপ দিয়ে
পথিকের দেহ ঝলসে দিতে পারে।
আমি আর গভীরে যেতে পারি না।


নিশামের কণ্ঠস্বর সেদিন আমায় ধিক্কার দিয়েছিল।
আর তোমার গানের সে বিষাক্ত শব্দগুচ্ছ
আমার কর্ণে যেন হতুড়ির আঘাত করেছে অবিরত।
হেমলক বিষ যেন এক ভালোবাসা,
আর সায়ানাইড বোতলে তোমার কণ্ঠের উত্তাপ
আমায় চিরদিনের মত শীতল করে দিতে চায়।
আজ আমি আর গভীরে যেতে পারি না,
আমি আর কোন কবিতা শুনতে পারি না।