একজন যোদ্ধা
তার এক হাতে বল্লম
এক হাতে ঢাল
কোমরে তলোয়ার
শরীরে আছে রক্ষাকবচ।
সে অপেক্ষায় আছে
কখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মুখে আসবে।
কিন্তু সে একবারের জন্যেও
পেছনে ফিরে তাকায় না।


সে কি জয়ী হতে পারবে?
নাকি সে হেরে যাবে?
শত্রু যদি পশ্চাৎ হতে আক্রমণ করে
তবে কি তার মৃত্যু হবে?
নাকি তার দেহের রক্ষাকবচ তাকে বাঁচিয়ে দেবে?
শত্রু কি এতটুকুও খেয়াল করবে না
যোদ্ধার সারা দেহে কোন স্থানটুকু
তার কবচের বন্ধন থেকে মুক্ত আছে?
কিংবা সে কি ভাববে না
যোদ্ধা যেকোন সময় পেছনে ফিরতেও পারে!
তাহলে কি হবে এ যুদ্ধের ফলাফল?


যোদ্ধা আর শত্রু উভয়েই নিজ স্থানে অবিচল,
তবুও তাদের কারো স্থান পোক্ত নয়।
উভয়ের ভাবনা আলাদা
পরিকল্পনা আলাদা
আর উদ্দেশ্য!
সে তো প্রতি মুহুর্তে
নিজের দিক বদলাতে থাকে।


যোদ্ধা জানে না,শত্রু কোথায় আছে।
শত্রু জানে না, কিভাবে যাবে যোদ্ধার কাছে।
এরই মাঝে কত লুকায়িত সেনা আসে
উভয়ের আশেপাশে।
আজ যুদ্ধ হবে।
যোদ্ধা প্রস্তুত
শত্রু প্রস্তুত
অস্ত্র প্রস্তুত
শুধু সময়, অপ্রস্তুত।
তাই বাড়তে থাকে শুধু অপেক্ষা।


রণভুমিতে দাঁড়িয়ে থাকে যোদ্ধা।
তার এক হাতে বল্লম
এক হাতে ঢাল
কোমরে তলোয়ার
শরীরে আছে রক্ষাকবচ।