পাহাড়ী মেয়েটি ফর্সা ছিল, শান্ত দুটি চোখ,
বড়ই মায়াবী।
ওর বাঙ্গালী বন্ধুরা ওকে বলতো, পাহাড়ী ফুল!
পাহাড়ী সরল মেয়েটি ভুলে গেল, সে জুম্মজাতি!
সাদা কাফন আর কবর তার জন্য নয়,
তার জন্য চিতার আগুন।
সরল বিশ্বাস তার মনে,
বন্ধুদের অগাধ ভালবাসতো।
জীবনের কোন সংকোচ রাখেনি,
কিন্তু ওর বাঙ্গালী বন্ধুরা, সভ্যতার মুখোশের আড়ালে যারা অসভ্য, বর্বর,
গরল মিশ্রিত মন।
সুযোগে সরলতার সদ্ব্যব্যবহার স্বরুপ, মেয়েটির সর্বনাশ করল,
ওর বাঙ্গালী বন্ধুরা।
লজ্জায়, ঘৃনায় মেয়েটি নিঃশেষ!
অকালে ঝড়ল, আরেকটি পাহাড়ী ফুল!


তবে শোন, এই পাহাড়ী মেয়ে,
আমাকে তোমার বন্ধু ভেবনা।
কেননা আমিও ওদের জাত ভাই,
আমরা ভালবাসি, তোমার সাদা চামড়া আর যৌবনটাই!
বন্ধুত্ব না ছাই!
বিশ্বাস না হলে এগিয়ে দেখ,তবে তোমার জন্য অপেক্ষায়,
ঐ সর্বনাশটাই!