"শোষন" বলে কোন শব্দ ছিল না,
পাহাড়ীদের সরল জীবনে।
"বর্বরতার" কোন শিক্ষাই পায়নি,
পাহাড়েরা গহীন অরন্যে থাকে তারা।
"নির্যাতন" কিভাবে হয়,
জানত না পাহাড়ী আদিবাসীরা।
"ধর্ষন" কাকে বলে?
অবুঝ পাহাড়ী নারী জানত তাও।
উৎসব অনুষ্ঠানে পাশাপাশি থেকে,
রাতের পর রাত পাহাড়ী যুবক-যুবতী,
হাতে হাত রেখে নৃত্য করে।
কই নষ্টামি তাদের তো ভর করা না!
ধর্ষিত হয় না কোন পাহাড়ী নারী,
কোন পাহাড়ী যুবক কর্তৃক।
তবে কেন আমাদের সভ্য সমাজ,
এ সমাজের মানুষেরা,
শোষন, বর্বরতা, নির্যাতন, ধর্ষন,
এ শব্দ গুলো কেন ঢুকেয়েছি?
ওদের সরল জীবনে।
ওরা জানত কেবল,
বনের গহীন হতে হিংস্র জানোয়ার-
আক্রমন করতে পারে।
তাই সংঘবদ্ধভাবে হিংস্র জানোয়ার-
প্রতিহত করেছে।
হত্যা করেছে জানোয়ারগুলোকে।
আর এখন-
এ সভ্য সমাজের মানুষগুলোর আচরন,
বন্য পশুর হিংস্রতাকে হার মানালো।
এখন আদিবাসী মানুষ,
তোদের বন্য পশু ভেবে,
আক্রমন করে বসলে।
তখন ওদের-
বর্বরতার অপবাদ দিস না।


*কবিতাটি জুম-২০০৬ সখ্যায় প্রকাশিত।