এই গাঁয়ের এক গরীব কৃষক,
সুখের মাঝেই ছিল ভীষণ।
বর্গা চষে পরের জমি,
অল্প কিছু আপন ভূমি।
আপন ভিটে আপন বাড়ি,
সঞ্চয় ছিলো অল্প কড়ি।
তাহার ছিল একটি কন্যা,
রূপে তাহার বইত বন্যা।
আরো ছিলো একটি ছেলে,
দিন কাটাত হেসে খেলে।
এমন করেই যাচ্ছিল বেশ,
দিনগুলিতে সুখেরি রেশ।
সুখের মাঝেই ভাই আর বুবু,
খাচ্ছিল বেশ হাবুডুবু।
কখন যেন তার দুয়ারে,
এল কাল দুঃখ হায়রে।
মেয়েটি তার হলো বড়,
বয়সটা পেরিয়ে পনেরো।
সমাজের সব গুনীজনরা,
ভাবে বসে নিরঞ্জনা।
কৃষক বেটার ঘরের মেয়ে,
হচ্ছে বড় বেশতো ধেয়ে।
এবার দিতে হবে বিয়ে,
মানের মাথা যায়রে নিয়ে।
এই গুঞ্জন বড় হয়,
কৃষক পেলো ভীষন ভয়।
শুনে কৃষক ব্যস্ত হয়,
মেয়েটার বিয়ে না দিলেই নয়।
কষ্টে এক যোগিল পাত্র,
বেকার ছেলে, বয়স তার তেত্রিশ মাত্র।
তার কাছে অনেক যৌতুক,
দিতে হবে নয় কৌতুক।
যৌতুকে গেলো সব কড়ি টাকা,
বিয়ের পর তাই সবই ফাঁকা।
এত দিনের আয় সঞ্চয়,
সবই গেল বৃথা প্রবঞ্চয়।
টাকার অভাবে কৃষক ভোগে,
ধরল তারে গরীব রোগে।
ছেলেটা হায় লেখাপড়া,
বন্ধ হল, যায় না করা।
টাকার জন্য বন্ধ চাষ,
কৃষকের বুকে দীর্ঘশ্বাস।
কৃষক বেটার সকল স্বপ্ন,
মিথ্যে হল ধন রত্ন।
সমাজের এই অপবাদে,
কৃষক আজ এই বিপদে।



-প্রসঙ্গ চলবে..................।