হায় আল্লাহ! একে তো আমি চিনি, জানি
হায়রে! মানুষের জীবন......।
আহারে! কী করে এমন হলো......!
পাগল ছিলো লোকটা,
এখানে ওখানে শান্ত শান্তির ধূসর ধূলায়
তর্জনী চালাতো বিদ্রোহী শ্লোগানে......।
মাগো, মাতৃভূমি আমার
তোমার স্বাধীনতা আজ ধূলায় মিশেছে
সারা গায়ে মাখি মাগো স্বাধীনতার ধূলো
এই স্বাধীনতার ধূলো আমি কাউকে দেবো না।


এখানে ধূলিতে রক্ত মেখে পড়ে আছে সে
উৎসুক জনতার ভীড়
কই দেখি!
কিভাবে হলো!
আততায়ীর ভুল নিশানা হবে হয়তো।
সংবাদে ছবি দেখলাম তাঁদের,
তবুও তাঁরা আততায়ী!
বুঝেন না কেন! নিশানা তো ভুল ছিলো।


কে যেন চিৎকার করে
বুঝি পাগলিনী......!
আশ্চর্য্য! সন্তান হারা মা তো পাগলীনীই!
এই যে ভাই সরে দাঁড়াও না একটু,
যেতে দাও ওকে
শোনো, কী বলছে......।
বুকে বুলেট বিধেছে সোনা!
চাপাতির আঘাতে রক্ত ঝরছে তোমার
পথের ধূলো ভিজে গেছে মানিক!
তোর রক্তে ধূলা ভিজে বেশ শক্ত হয়েছে,
হালকা হাওয়ায় আর উড়ে যাবে না।
কিছুদিনের জন্যে তোর রক্তে শক্ত হলো
আমার স্বাধীনতা।


তুই এখন হাজার জনতার
স্বপ্ন দেখবার, দেখাবার।
স্বপ্নের পথের ধূলায়
স্বপ্নের পথিক।