(কইতরী কথন - ১)
কইতরী, তোমার জন্যে পূর্ণ প্রদীপ হয়ে আলো দিতে চেয়েছিলাম,
দুর্ভাগ্যক্রমে মাঝখানের এক খণ্ড সলতে হয়ে গেছি!
জ্বালানী ও অগ্নিশিখা দুটোই এখন তুমি,
তোমার জ্বলা দেখে অহেতুক পুড়ে যাই আমি।


(কইতরী কথন - ২)
কইতরী, জপমালা হাতে দাদীমাও দেখে যান নষ্টামি,
ভীষণ ভাষণে সব ভুলি আমি।
প্রেমের শেষ চিহ্ন মুছে ফেলেও নস্টালজিক প্রতিনিয়ত,
কল্পনায় আমি এখনো তোমার স্বামী।


(কইতরী কথন - ৩)
কইতরী,আমি মগডালে বসে শুঁকেছি সজীব সতেজ ফুলগুলো,
দারুণ সতর্কতায় দেখে নিয়েছি চারপাশটাও।
তুমি ঝরা ফুল কুড়িয়ে গেঁথেছিলে মালা বড়ই মায়ায় সযতনে,
ওদের ঝরে যাওয়া কান্নার বুঝিনি লেশটাও।


(কইতরী কথন - ৪)
কইতরী, সৃষ্টিশীল প্রেমে নিজেকে গরু ভাবতেও কোন সমস্যা নেই,
তোমার জন্যে হতে পারি গাধাও!
তবে নিজেকে গণ্ডার নামক প্রাণীটি ভাবতেই ঘোরতর আপত্তি আমার,
আবেগ অনুভূতি প্রকাশে বড় বাধাও।


(কইতরী কথন - ৫)
কইতরী, প্রেমের সূর্যালোক চেয়ে এতোটা ঊর্ধ্বগমন করিও না যে,
কলঙ্কে মুখটাই পুড়ে হয়ে যায় ক্ষয়।
নতুন জীবনের লোভাতুর আশ্বাসে এতোটা ঝুঁকি নেওয়া অনর্থক বটে,
থাকে আড়ালে মুখ লুকানোর ভয়।