অভাবের এই দুনিয়াতে
সবাই ভিক্ষুক মোরা।
জন্মগ্রহণ খালি হাতে
মায়ের ভিক্ষা দ্বারা।


কেউ ভিক্ষুক পরিবারে
কেউবা পথে ঘাটে।
কেউ ভিক্ষুক দ্বারেদ্বারে
কেউবা হাটে হাটে।


কেউ ভিক্ষুক অজুহাতে
কেউবা হয় স্বেচ্ছায়।
কেউ ভিক্ষুক আলসেমিতে
কেউবা মিছে কেচ্ছায়।


কেউ ভিক্ষুক নদীর পাড়ে
কেউবা সমুদ্র তটে।
কেউ ভিক্ষুক মেলার ভীড়ে
কেউবা সংসদ কোর্টে।


কেউ ভিক্ষুক বাসে রেলে
কেউবা শিক্ষাঙ্গনে।
কেউ ভিক্ষুক শপিং মলে
কেউবা মসজিদ পানে।


কেউ ভিক্ষুক অন্ধরাজ্যে
কেউবা নিম্ন গোত্রে।
কেউ ভিক্ষুক নিজবাণিজ্যে
কেউ চাকুরির ক্ষেত্রে।


কেউ ভিক্ষুক মোবাইল ফোনে
কেউবা সামনে বসে।
কেউ ভিক্ষুক সামাজিক জোনে
কেউ ইশারা শিসে।


কেউ ভিক্ষুক ধ্যানেজ্ঞানে
কেউবা নিরব সুরে।
কেউ ভিক্ষুক জনেজনে
কেউবা স্রষ্টার তরে।


[বিঃ দ্রঃ
ভিক্ষুক হয়েইতো জন্মেছি মোরা।
তবুও কেন সবথেকে অবহেলিত ওরা?
দুর্ভাগ্যের মায়াজালে পেশাগত ভিক্ষুক যারা।


আসুন বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি।
কেন ওদের এইপথে আগমন?
কেন ওরা লজ্জাহীন, কেন এত অসহায়?
কেন ওরা ল্যাংড়া, কেন ওরা কানা হ্যাংলা?
কি এমন ওদের জালা?


আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন।


তারপর মন থেকে শপথ করি।
সাহায্যের হাত বাড়াতে
কিংবা সহানুভূতি দেখাতে
পারি বা না পারি।
ভিক্ষুকেরে দেখে করবোনা ঘৃণা,
করবোনা কখনো অবজ্ঞা, অবহেলা। ]