বনানীর এফ. আর. টাওয়ার।


সেদিন দুপুর সাড়ে ১২টার পর
হঠাৎ বিদ্যুৎ যাওয়া,
চিৎকারে কোলাহলে বুক ধড়ফড়
অগ্নিকুন্ডের হাওয়া।


কি জানি কিভাবে হলো একি
মনে লাগিছে ভয়,
জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি
কালো ধোঁয়া বয়।


নিমিষেই যেন ধোঁয়ার ঝাঁজে
নিমজ্জিত চারপাশ,
প্রাণঘাতী অগ্নিশিখার রাজে
থমকে যায় নিঃশ্বাস।


সবাই মিলে খুঁজছি উপায়
জীবনটাকে বাঁচাতে,
সিঁড়ির পানে থমকে দাঁড়ায়
না পারি আর এগোতে।


মৃত্যু বুঝি ডাকিছে আজ
মনে মনে ভাবি,
নিস্তব্ধ মুখ, কপালে ভাজ
তবু বাঁচার দাবি।


পরিবারের সাথে কইছি কথা
কানে কানে ফোনে,
চাইছি ক্ষমা, বুকে বিদায় ব্যথা
অশ্রু দু'নয়নে।


পোড়া বজ্রের কালো ধোঁয়ায়
মুখটা আটকে রাখি,
যে যার মতো ছুটছি সবাই
নিচ্ছি শত ঝুঁকি।


দোয়া আর কালেমা পড়ে
ডানে বামে দৌড়াই,
ঘন্টার পরে ঘন্টা ধরে
মৃত্যুর সনে লড়াই।


মায়ের কথা ভেবে স্রষ্টার তরে
চাইছি জীবন ভিক্ষা,
ওগো দয়াময় দাও ক্ষমা করে
করো আমায় রক্ষা।


শুনেছে খোদা আমার আকুতি
রেখেছে এই প্রাণ,
অশেষ শুকরিয়া ঐ তোমার প্রতি
ওগো দয়াবান।


[বিঃ দ্রঃ
২৮ই মার্চ ২০১৯ এর ওই মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডে আমি আমার ৫জন সহকর্মীদেরকে হারিয়েছি। ঝরেছে আরো অনেক প্রাণ। হে আল্লাহ তুমি তাদের সকলকে ক্ষমা করে শহীদী মর্যাদায় বেহেস্তের সর্বোচ্চ স্তর দান করো। আমিন]