আকাশের দিকে দৃষ্টি ফেরাল জনতা
চোখে মুখে দুশ্চিন্তায় অবসাদ জমেছে
দিন গড়িয়ে গভীর হয়েছে রাত
গাঢ় অন্ধকারে তাদের এতো কিসের প্রতীক্ষা!
দুরে কোথাও অস্পষ্ট মোমবাতির আলোর মতো
একটা শিখা ভুল দৃষ্টিতে দেখে
মশাল হাতে নেতা আসছে, তার জন্য এই প্রতীক্ষা
প্রভাতের আগুন ছিটিয়ে সে আনবে সোনালী ভোর।
বুকের যন্ত্রণায় অন্ধকার কোটরে জ্বলে চোখ
জনতার হৃদয়ে শান্তির পিপাসা মিটিয়ে দিতে আসবে সে।


নেতাকে উদ্দেশ্য করে
সমস্বরে জনতার  চিৎকারে কানে তালা লেগে যায়।
অশ্রু শূন্য চোখে তারা বিলাপ করছে......
আমাদের এই প্রজন্মকে অবক্ষয় থেকে বাঁচাও
আমাদের এই দেশকে অধঃপতন থেকে বাঁচাও
বিবেক মনুষ্যত্ব লুণ্ঠনের হাত থেকে বাঁচাও
আমাদের বুকের ভেতরের ক্ষতগুলো থেকে বাঁচাও।


আমরা দিনের বেলায় চোর ছিনতাইকারীর ভয় নিয়ে হাঁটি
আমাদের সম্পদ বেদখল হওয়ার ভয় নিয়ে থাকি
মান-ইজ্জত লুট হওয়ার ভয় নিয়ে ঘর থেকে বের হই
যখন ক্লান্ত দেহে বাসায় ফিরি
তখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি।
ভয়ে ভয়ে জীবন কাটায় কথা বলার অধিকার নাই
দরিদ্র অসহায় মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নাই
মরে গেলে স্বজনদের লাশটা পাওয়ার অধিকার নাই।


যে মায়ের সন্তানেরা গুম হয়ে গেছে
সেই মা অশ্রু ভেজা চোখে আজো থাকে প্রতীক্ষায়
লাঞ্ছিত বোনের আত্মারা নিশুতি রাতে বিচারের জন্য কেঁদে ফেরে
কিছু কেষ্টবিষ্টুদের বিলাসিতায় দেশের স্বার্থ গোপনে বিনিময় হয়
তার জন্য ঘরে ঘরে ওঠে হাহাকার।
জনতা ফিরে এসেছে ঘরে আর্তনাদ নিয়ে
বিদ্যুতের ঝলকের মতো মুষ্টিবদ্ধ হাতে
তারা ঝলকে উঠতে পারে নি।
প্রতিজ্ঞায় নেয় না তারা দৃঢ়তর শপথ
ফিরে এসেছে তারা পরাজয় অস্বীকার করে
চোখে জল ধরে।
হতাশার পাঁকে ডুবে যেতে যেতে
একজন বলে উঠেছিল নেতা আসবে, বিশ্বাস রাখো আশা রাখো।
বিষাদের বেলাভূমিতে বসে
আনন্দের গান গেয়ে ওঠো একবার সমস্বরে।
আর ফিরে যাও যখন তোমরা চারদিকে বাতাস কাঁপিয়ে
একই বিন্দুতে মিলিত হয়ে এক হবে
তখন সে আসবে নয়তো আরও অপেক্ষা কর!!