রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ঝুপ ঝুপ বৃষ্টি নামলো ব্যস্ত এই শহরে
কোলাহল থেমে নেমে এলো শশ্মানের নীরবতা।
সীমাহীন দুঃখে নিবিড় মায়ায়
অঝর ধারায় কাঁদছে শরতের আকাশ
তীব্র ক্ষোভে বিশাল শব্দে আছড়ে পড়ছে আলোর ঝলকানি।


খোলা জানালা ভেদ করে কোমল বাতাস ছুঁয়ে দিল আমাকে
অদ্ভুত এক শিহরণে ঘুম ভেঙে চোখ মেলে দেখলাম
বিজলী মেয়ের হাসির চমকে
নূপুর পায়ে রিমঝিম শব্দের তালে নেচে যায় জলপরী
নীরবে গিয়ে দাঁড়ালাম জানালার পাশে
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁয়ে দিতেই মনে পড়ে গেল তোমাকে।


হৃদয়ে জাগল নিবিড় পুলক
শীত থামাতে কাঁপা কাঁপা হাতে তুলে নিলাম গরম চাদর
শূন্য খাটে চাদর মুড়ি দিতেই বিষণ্ণতা জেগে উঠলো
আমার সমস্ত অস্তিত্ব,শরীরের প্রতিটি কণা
তোমার স্পর্শ পেতে ব্যকুল হলো।


যদি তুমি থাকতে আমার পাশে
তাহলে তোমার স্পর্শে আজকের বৃষ্টির মতো
অঝর ধারায় শান্তি ঝরে পড়ত আমার এই হৃদয়ে।
তখন আমি স্বর্গের সুনীল সাগরের উপর বর্ণিল মেঘ হয়ে
ভেসে বেড়াতাম।
তবুও তুমি কেন এত দূরে থাকো? তুমি কি বোঝ না?
এই বৃষ্টি ভেজা রাতে
শুধুই খুঁজে ফিরি তোমার বুকের উষ্ণতা।