ফাল্গুনের মেঠো পথে দেখা হয়েছিল তোমার আমার
তোমার মুখ ছিল যেন হাসিমাখা শিউলি ফুল
আমাদের বুকের ফুলদানিতে ছিল তখন ভালবাসার ফুল
প্রণয়ের মাদকতায়
একটা স্বচ্ছ প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের কাটছিল দিন।


তারপর একদিন সবকিছুর অবসান হলো
আমাদের সুমধুর রাত শেষ হত বেহালার সুরের মতো
সুগন্ধি মাতাল মাংসের ঘ্রাণে রাতের আঁধারে আমরা জেগে থাকতাম
আমরা একসাথে দেখতাম চিলের পিঠে নেমে আসা সন্ধ্যার সূর্য।
তোমার নূপুরের ছন্দে তখনও যেন
আমার হৃদয়ে হাই বিটের কম্পন শোনা যেত।


তারপর একদিন আমাদের আকাঙ্খার মহাপ্রলয়ে
ভালবাসার নৌকা ডুবে গেল
আমরা দু’জন দু’পাড়ে উঠে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়েছি
পরস্পরের দু:খ বেদনা ক্ষত কি হবে আর নিক্তিতে মেপে
এখন আমি আর তোমাকে ঘনঘন মুঠোফোনের বার্তায় জাগায় না
সেই সবের সব হয়েছে পরিসমাপ্তি।
আমি আছি কাছাকাছি তোমার
তবুও তুমি দুরে কত দুরে!
আমার হৃদয়ে তোমার জন্য জাগে আকাঙ্ক্ষা
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়, উঠে বসে থাকি
অতিথি পাখির ডানায় ভর করে স্বপ্ন আসে
আমার সকল সাধ পরাজিত হয়ে উড়ে যায় রাতের আঁধারে
কেবলই ভাবি, তুমি ছিলে আমারই
পরিপূর্ণভাবে তোমাকে পেয়েছিলাম রাতের অন্ধকারে
অথচ তুমি এখন! না থাক, আর ভাবতে পারি না।
আমার শরীরে নেমে আসে নামহীন যন্ত্রণা
কান্নার প্রয়োজন নেই, তবুও মাঝেমাঝে কেঁদে উঠি।