শোচনীয় কাবাঘরের সংস্কার কাজ এগিয়ে চলে
আজ কে পাবে কৃষ্ণপাথর সরাবার সম্মান?
সবাই পেতে চাই সেই সম্মান! কে কার কথা শোনে?
দ্বন্দ্ব শুরু; তুমুল হট্টগোলে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা!!
মুহাম্মদের বিচক্ষণতায় যুদ্ধ যায় থেমে।


স্রষ্টাকে পেতে মুহম্মদ হলেন সংসারী
বাণিজ্যে শিখলেন মিতব্যয়ীতা,দূরদর্শিতা,বিশ্বস্ততার কৌশল
সংসারে পেলেন তিন পুত্র চার কন্যা; বাঁচল না পুত্ররা
তখন কন্যা মানে অসম্মানের বীজ! কে দেখবে তাকে?
খাদিজা তার জন্য মেলা থেকে কিনে আনে বালক জায়েদকে!
সেবার জন্য কৃতদাস পেয়ে মুহাম্মদ বলে,
‘মানুষ সবাই সমান;কেউ কারো প্রভু হতে পারে না!
জায়েদ,মুক্ত তুমি! যেখানে খুশি যেতে পারো!’
জায়েদ বলে,‘আমার কেউ নেই,আপনিই আমার সব।
জায়েদের খোঁজ পেয়ে পিতা মুহম্মদকে এসে বলে
ছেলে ফিরিয়ে নিতে চাই,কত দাম তার’?
মুহাম্মদ বলে ‘দাম দিতে হবে কেন? সে মুক্তই আছে, নিয়ে যান’
জায়েদের পিতা বিস্ময়ে হতবাক! এ কিরকম কথা!
টাকা দিয়ে দাস কিনে মুক্ত করে তাকে দেবে বিনামূল্যে!
সন্তানকে পেয়ে বাবা বলে, ‘মানিক আমার, চল ফিরে যায়’।
জায়েদ বলে, ‘তোমাকে পেয়ে আমিও খুশি বাবা
‘তবে তিনি আমাকে দিয়েছেন পিতার স্নেহ মাতার মমতা
তাকে ছেড়ে কি করে যাই! বাবা!! আমাকে ক্ষমা কর’।


এক বালকের ভালবাসা, এক কৃতদাসের ভালবাসায় পরাজিত হয়ে
নিরাশ হয়ে পিতা চোখ মুছে বাড়ি ফিরে যায়!
মুহাম্মদ কাবাগৃহে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলল
‘তোমরা সাক্ষী থাক,আজ থেকে এ জায়েদ আমার পুত্র!
সে আমার উত্তরাধিকারী।’
ছিল কৃতদাস! সে হলো উত্তরাধিকারী!!
লাঞ্ছিত নিপীড়িত মানবাত্মার এ কোন সম্মান?