মক্কার এক সম্ভ্রান্ত, বিত্তশালী বিধবা মহিলা খাদিজা
মানুষের মুখে মুখে শোনে মুহাম্মদের নাম
বাণিজ্যে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন;কে দেবে তাকে একটু বিশ্রাম!
লোক মারফত খাদিজা মুহাম্মদকে ডেকে প্রস্তাব রাখে
আমার এ ব্যবসা পরিচালনার ভার তোমাকে দেব
পারিশ্রমিক নিয়ে ভেবো না,পাবে দ্বিগুণ’।
উত্তরে মুহাম্মদ বলে,‘চাচাজির মতামত দরকার, একা কি করে নিই!’
তখন তাদের সংসারে টানাটানির দিন
আবু তালেবের পরিবারে-এ যেন একটা খুশির সংবাদ।


মুহাম্মদ এগিয়ে চলল দামেস্ক,ইয়াস্রেব,হাইফা,জেরুজালেম
যেখানেই যায় ব্যবসা সফলতার বন্যায় প্লাবন আসে
এদিকে খাদিজা আবেগ উৎকণ্ঠায় পথের দিকে চেয়ে থাকে
সে কি পারল? নাকি পারল না? সেকি ফিরল? নাকি ফিরল না?
তার অহেতুক এ কিসের উদ্বেগ,কিসের আকুলতা!
জীবনের সুপ্ত সাধ এ অবেলায় কি ডেকে উঠলো?
একটা নতুন প্রেরণা তার অন্তরের আড়ষ্টতা ভেঙ্গে দেয়
খাদিজা একদিন একমনে দাঁড়িয়ে দেখে দুরের কাফেলা
উঠের পিঠে মুহাম্মদ!
সে এসে সমস্ত হিসাব বুঝিয়ে দেয় উচ্ছ্বাসিত কপট-হীন প্রাণে।
তখন মুগ্ধ খাদিজা তার সততা ও বিশ্বস্ততায়
ক্রমে এসে গেল তার কাছে প্রণয়ের ঋণ,ভালোবেসে ফেললেন!
খাদিজার দুশ্চিন্তা দেখে নাফিসা বলে,‘তোমার মনে এ কিসের চিন্তা!
যত কঠিনই হোক! তুমি সে ভার আমাকে দাও।


নাফিসা নিয়ে গেল মুহাম্মদের সাথে খাদিজার বিয়ের পয়গাম
মুহাম্মদ বলে,‘এ কি সম্ভব! এ যে রূপকথা, এ যে স্বপ্নময়!’
উভয়পক্ষের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা!
একদিকে পঁচিশ বছরের যুবক সৌন্দর্য,বুদ্ধিমত্তা,সাহসে তুলনাহীন
অপরদিকে চল্লিশ বছরের বিগতযৌবনা বিধবা রমণী
বয়স কি এসে যায়!
ভালোবাসা প্রকাশ পায় অন্তরের গভীরতায়!