রাতের নির্জনে চুপিচুপি ঝরে পড়ে জোছনা
অপলক চাঁদ জেগে আছে আকাশের গায়ে
খোলা বারান্দায় আমি একা।
জোনাকির আলোর মতো ভেসে ভেসে
আমার স্মৃতির বাগানে তুমি জ্বালছ আলো।
আমার এ অবুঝ চোখ
একদিন তোমাকেই বুঝি পেয়েছিল খুঁজে!!


বন্দি স্মৃতি কাঁদছে আমার বুকে ছাইচাপা আগুনের মতো
ক্ষুধাতুর দুটি আঁখি তুলে মেঘের ঘোমটার ফাঁকে
অতি দূর তারকায় দেখি তোমার মুখ।
আলেয়ার আলো হয়ে আমারে ডেকেছিলে পার্কের নরম ঘাসে
বকের ছানার মতো এলোমেলো ডানা মেলে
স্বপ্নরা উঠেছিল নেচে।
তারপর মাঝপথে সব থেমে গেল
শকুনের মতো শূন্যে ডানা মেলে
দূরে, আরও দূরে উড়ে চললে।


যৌবনের রাঙা আলোয় এসে
জীবনের বসন্ত উৎসবে একখানি শূন্য পাত্রে
তুমি ঢেলেছিলে প্রেমের সুরা
মাতালের মতো চোখ বুজে আমি সব করেছিলাম পান;
তারই নেশা এখনও আছে।


দীর্ঘ রাত বন্ধ চোখে মস্তিষ্ক জেগে থাকে
জীবনের এলোমেলো পথে তোমারে খুঁজে পাই না আর ।
দিনের আলোয় লুকিয়ে থেকে নিঝুম রাতে একাকী কথা কও
জীবনের সব ধার ক্ষয়ে ক্ষয়ে
তুমি আমার বুকের পরে আজও জেগে আছো অপলক।