অসুস্থ বাবা আর দুই অবুঝ শিশুর মুখে
দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে আধো আলো আধো ছায়ায়
পৃথিবীর সমস্ত লাঞ্ছনা আর ঘৃণার বোঝা মাথায় নিয়ে
হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে এক নারী।
সস্তা মেকআপে প্রেমের পসরা সাজিয়েছে বিক্রির আশায়।


দিনের আলোয় দ্বার রুদ্ধ করে সে এখন নিশাচর
যেন এক নেশার পণ্য
আসক্তদের আনন্দ বিলাতে দাঁড়িয়ে আছে সে।
জীবন তার যন্ত্রণায় ভরা পরিহাস আর প্রহসন
সমাজের বুকে সে যে এক অভিশাপ
সে যে এক অর্স্পশ্যা! তবুও মানুষ সে।
কিছু সময় আনন্দে ভরিয়ে দিয়ে বিনিময়ে পায় দাম।


রাতের আঁধারে চার দেওয়ালের মাঝে
বুকে শত যন্ত্রণা চেপে নববধূ সেজে যে হয় রাণী
সে ভোরের আলোয় রাস্তায় নেমে অপবাদ পায় নষ্ট মেয়ে।
তখন তোমরা!
মুখোশের আড়ালে মুখ ঢেকে সাজো দেবতা।


এই অবাঞ্ছিত মেয়ের জন্য অধীর হয়ে বসে থাকে
তিনটি জীবন।
খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরলে স্বর্গ নেমে আসে ঐ ঝুপড়ি ঘরে
সে এখানের সুখ-দুঃখের কাণ্ডারি;একমাত্র অবলম্বন ।


মুখ বুঝে সব নির্যাতন লাঞ্ছনা অপবাদ সয়ে
এইখানে যে বাঁচাল জীবন
সমাজের বুকে সে এক অভিশাপ,সে এক নিষিদ্ধ !
বিধাতা তোমার কাছে সে কি?
জানা নেই,তবুও তো সে মানুষ!
কোন এক নারী; তোমার সৃষ্টির সেরা জীব।