আজো তিনি সচল আছেন, প্রৌঢ় লগ্নেও ক্লান্তিহীন
লিখে যান সব্যসাচী দ্রোহীর মতো,
বলে যান নির্ভার কথাগুলো অকপট সংক্ষুব্ধ হৃদয়ে;
এদেশের মৃত্তিকার ঘ্রাণ নেবে, তাঁর চেয়ে
খাঁটি কোন নাসারন্ধ্রের খোঁজ আমি তো জানিনা!
কেবল জানি নদী ও নারীর কথা হৃদয়ের শুদ্ধপাঠে
অনর্গল বলে যেতে তিনিই পারেন।
চকচকে দা’ হাতে চন্দ্রালোকে সরে দাঁড়ায়
তাঁর গল্পের সাহসী নারীরা, তবু তিনি
কবিতার জন্যে দূরন্ত সাহসে ছুটে যান বহুদূর--
আর, আমরা পাঠক যারা তাঁর পাঠে হয়ে থাকি বুঁদ;
বাংলা সাহিত্যের যাচ্না ও প্রার্থনা তিনি
কবি আল মাহমুদ।
নির্ভীক মানুষ এক আজন্ম আপোষহীন সদা-সৈনিক,
গণতন্ত্রের লেবাসপরা স্বৈরাচার কারাবন্দী করেছে তাঁকেও;
আজো তাঁর লিখিত বাণী অত্যাচারী ও নাস্তিকদের
বুকের ভেতর জাগায় কাঁপন। গণমানুষের তিনিই আপন।


আজো তিনি সচল আছেন, এরচে’ বড় সৌভাগ্য
এই দেশ ও জাতির আর কী হতে পারে!
অনন্তকাল থাকুন বেঁচে আমাদের হৃদয় আধারে।