তোমার চলে যাওয়া পথের পাশে
দাঁড়িয়ে থেকেছি নীরবে একাকী,
তোমার কাছে যেতে চেয়েছি বহুবার
বহতা নদীর ধারে হেঁটেছি,
মৃদু বাতাসে কান পেতে
অবসন্ন মনের আকুতি ভরা
অতৃপ্ত চাহনি নিয়ে।


আঁতকে উঠি তোমার প্রস্থানে,
তোমার কথা,তোমার স্মৃতি
শ্বেত মেঘের পুঞ্জাবৃত অসীম
বেদনায় ঝড়ে বৃষ্টি হয়ে ।
নীড়ে ফেরা নিঃসঙ্গ পাখীর মত,
ভেসে ওঠো আর্তনাদ ভরা চোখের রেটিনায় ।


তোমাকে হারানোর কল্পনা নয়
ভয়ংকর বিদেহী আত্মার জল্পনায়
পেয়েছি দির্ঘস্থায়ী ক্ষতের সূচনা,
চোখের জলের নিঃসরণ দেখেছিলে কিনা
জানিনা? তবে এক দুর্বোধ্য সময় কেটেছে,
তবুও আমার অন্তরিক্ষে বসবাস।


তোমার অনুপস্থিতির যোজনায়
নির্মম দহনে নিজেকে পুড়িয়েছি বহুবার।
রক্তিম বিকেলের অবসন্ন সন্ধ্যায়,
নিজেকে হাড়িয়েছি তোমার মাঝে !
তোমার স্পর্শ, অতলান্ত চাহনির ব্যাকুলতা
নিঃশেষ হয়ে আসে অক্সিজেন।


আমার বক্ষে, আত্মার অচঞ্চলতায় !
আমার রক্তে শিরা-উপশিরায় ধমনীতে,
তোমার অস্তিত্বের রূপায়ণ দেখতে,  
প্রবেশ করো আমার ভেতরে অন্তহীন গভীরতায়।


আমার চেতনায়, আমার প্রত্যয়ে
আমার আরাধ্যের গহীনে
তোমার সবিশেষ প্রত্যাবর্তন,
যুগান্ত সমীকরণে নিবদ্ধ অনুরণন ।  


অনন্ত অগ্নি বিস্ফোরণেও
তোমার প্রদীপ্ত নয়ন যুগলে
চিরন্তন স্বপনের বাহু বন্ধনে
নিবিষ্ট হতে চেয়েছি লক্ষবার।


সেদিনের সেই উত্তাল দিনগুলির
মহড়াতে মিশে আছে তোমার আলিঙ্গন।
প্রেমদ্দীপ্ত পুরুষের মত এগিয়ে
তোমার সম্মুখে, তোমার চোখের পাপড়িতে
রাখতে পারিনি আমার অস্তিত্ব,
বলতে পারিনি আমার যন্ত্রণার ইতিবৃত্ত।


মৃদু হাওয়ার অনুভবে ছিলে তুমি
কাব্যময় গল্পের সুমিষ্ট মহারানী
বেদনার নাইটিঙ্গেল তুমি
বিস্ময়কর ভালোবাসার দৃপ্ত উপাখ্যান তুমি।


রচনা কালঃ  বিকেল ৪.০০ মিনিট
২রা অক্টোবর রবিবার  ২০২২ খৃষ্টাব্দ
গাজীপুর , বাংলাদেশ থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®