আমি কখনই ভাবিনি যে, তুমি
নিরাশার আলোক বর্তিকা হয়ে অব্যক্ত  
প্রেমের নিরন্তর প্রতিশ্রুতির অন্তর্জালে
আমাকে নিয়ে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হবে ।


আমাকে আমার ভেতর থেকে
অসীম প্রেরণার উৎস বানিয়ে হৃদয়ের
গহীন অরণ্যে, আশাতীত স্মৃতির
শ্রদ্ধার্ঘতায় পুস্পার্পনে অভিভূত করবে।


আমিতো আগ্নেয়গিরির অগ্নিলাভায়
বেদনার শুভ্র মলাটে দেশলাই কাঠির মত
বাক্সবন্দী করে রেখেছি আমার
ভাবি জীবনের নিখাদ কল্পনার আহ্লাদ।


এক আকাশ ভর্তি শ্বেত মেঘের
অন্তরালে বিষাদের মহাকাব্য, আর চৈত্রের
দাবদাহ আমাকে ভাবিয়ে তোলে, অহর্নিশ,
রুপক প্রেমের উপাখ্যানে।


গ্রহ থেকে গ্রহাণুপুঞ্জের অসীম দূরত্ব,
আর রজনীগন্ধার স্নিগ্ধতার পরম আবেশ
যেমন আন্দোলিত করে আমার আমিত্বকে,
জাগিয়ে তোলে তোমার শারীরিক আঘ্রাণে,
আমি ফিরে পাই নতুন করে জন্মাবার প্রেরণা।


তুমি আছো বলেই নক্ষত্ররাশির উত্তাল
উন্মাদনায় জেগে ওঠে প্রেমের রাজধানী,
টাইমস স্কয়ারেও বেজে ওঠে
যুগল মৌলিক প্রেমের নীরব সাইরেন।


তোমার অনুভবে, তোমার মহনীয় চাহনির
প্রেমত্তাপের আলিঙ্গন, প্রত্যাশার দেয়াল ভেঙ্গে
অতৃপ্ত হৃদয় আমার জর্জরিত, কাব্যিক
চেতনায় প্রলুব্ধ আমার আত্মার জগত।


যতবার ভেবেছি, নিভৃতে শুধুই কেঁদেছি একা,
আমার শুন্যতা গুলো, তোমার অভাবের বৈরিতা
আমাকে দাহন করে নিত্য প্রহরে, আমিও
বিলাসী নগরীর তন্দ্রাহীন সুপুরুষ।


এই মায়াময় সবুজ অরণ্য, অসীম নীল
আকাশ, তোমার ভালোবাসার প্রতিধ্বনিতে
বেজে উঠুক আমার অপ্রকাশিত কাব্যিক
পাণ্ডুলিপির সব কটা কবিতা।    



রচনা কালঃ  বিকেল ৫.০০ মিনিট
১১ই অক্টোবর মঙ্গলবার ২০২২ খৃষ্টাব্দ
গাজীপুর , বাংলাদেশ থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®