আজ  যে শাড়িটা তোমার কেনা হলো না
আচল জুড়ে নীল রঙ নিয়ে সেটা বড় অভিমান করে আছে
নীলাভ দীর্ঘশ্বাসে পুরো শপিং মল থমথম করছিলো
কেউ দ্যাখেনি সবাই ভীষণ ব্যাস্ততা নিয়ে বাঁচে।


আজ যে শাড়িটা তোমার কেনা হলো না
অনেকটা সময় নেড়েচেড়ে “রঙটা বড্ড ক্যাটক্যাটে”- বলে ঠিকই ফেরত দিলে,
অথচ পরক্ষণেই কতই না মমতা নিয়েই তাকালে  আরেকবার
ফেরার সময়  আড়চোখে তুমি বারবার সেই শাড়িটাই দেখছিলে ।


যে শাড়িটা আজ তোমার কেনা হলোনা
সেটা হয়ত এখন লেপ্টে আছে খুব সচ্ছল কারও শরীরে
স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতায়, মুগ্ধতায় শাড়ি পরিহিতা ঝলমল করছে
স্ত্রীর শরীর থেকে শাড়িটি খুলেই, তৃপ্ত স্বামীটি চলে গেল গভীরে।


কিংবা কেবল যে মেয়েটি ধর্ষিত হলো
ছেড়া শাড়িটি চাপা পরে আছে তার মাংসপিন্ডের আড়ালে,
কিংবা চাপা স্বভাবের লাজুক কোন বালিকা আজ শাড়িটি পরে ভাবছে
আজ কয়েক কদম এগিয়ে যাবে, তার বোকা লোকটি একটি কদম বাড়ালে।


আজ যে শাড়িটি তোমার কেনা হলো না
তার আচলের গাঢ় নীল রঙ একদিন আকাশ হয়ে যাবে,
তোমাতে সেদিন আকাশ পেচিয়ে দেবো পরম আরাধ্য প্রসাদের মতো
কারণ কবি’রা শুধু আকাশ দিতে পারে-শাড়ি নয়, বিপুল অর্থাভাবে।