যখন ঝুম বৃষ্টি নামে
তাকে তা রোমাঞ্চিত করতে পারেনা।
বারান্দার গ্রীল ধরে সে বৃষ্টির ছাট অনুভব করেনা কপালে, ঠোঁটে ও গালে,
বৃষ্টির জল তার কাছে আরেক রকম তরল-যার নোনতা স্বাদ নেই
সে কখনো ভেজেনি বৃষ্টির জলে।


যখন রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজে
তাকে তা প্রেমময়ী করতে পারেনা।
ইজিচেয়ারে আধশোয়া হয়ে সে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনেনি দুচোখ বুজে,
তার জন্য প্রেম বদলায় প্রতিরাতে
অতি কামুক ঠোটে সে একটু ভালোবাসা খুঁজে।


সে আর কেউ নয়,
বাংলা অভিধানের নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ-বেশ্যাঃ
প্রেমহীন দেহের একচ্ছত্র বিক্রেতা,
কিন্তু ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মেলালেই তো চুম্বন হয়না
যেখানে মেলানো থাকে অসীম মলিনতা।


আমি সেই মেয়েটির কথা বলছি
যার ওই দুটি স্তনের ভেতরে একটি হৃদয়ও কিন্তু আছে
যেখানে লুকানো হয়তো একটি যুবকের ছবি,
আমি সেই মেয়েটির কথা বলছি
একটানা আধঘন্টা ঠোঁটের সাথে ঠোট ঘষার পর
হাসিমুখে বলতে পারে-মনডা ভালা কবি?


আমি সেই মেয়েটির কথা বলছি
যার কোন প্রিয়জন নেই
প্রতি রাতে অপ্রিয়জনের জন্য সাজে,
রাতের বেলা সুশীল সমাজ কামুক হয়ে থেকে
দিনের বেলা গালি দেয়-চরিত্রহীণ ও বাজে।


আমি সেই মেয়েটির কথা বলছি
যার জন্য একএকটি রাত দীর্ঘ এক শতাব্দ,
সুশীল সমাজ তাকে বলে বেশ্যা-
বাংলা অভিধানের একটি নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ।