মৎস্য-কুমারী ও বিকেলের নদী-কাহিনি
.
নদীতে ভাটার টান
তবুও সোনালি মাছেদের জলসা বসে  প্রতিদিন,


আমি মাছেদের ডেকে বলি- হে  মৎস্য -কন্যারা
তোমারা সাগরে যাও
গভীর জলে করো অবগাহন
সেখানে তোমাদের রাজকুমারের প্রতীক্ষায় আছে
তোমরা ইচ্ছো করলেই তো স্বয়ংবরা হতো পারো,
এখানে মৎস্য  কুমার নেই
তোমাদের যৌবন অযথাই কেন
ভাটার স্রোতের টানে ভেসে যেতে দাও
তোমার জলসা ভাঙো
অত:পর মৎস্য কুমারদের মধুর সান্নিধ্য লাভের সমূহসুযোগ গ্রহণ করো,


মৎস্য  কন্যরা কেউই আমার কথায় কর্ণপাত করে না
যে যার মতো ক্রীড়া-কৌতুকে মেতে থাকে
কেউ জলের আয়নায় বার বার দেখে মুখ
কেউ বা রূপচর্চায় ব্যস্ত বিউটি পার্লারে


আমি বার বার রূপসী মাছেদের আমার অভিজ্ঞতার কথা শোনাই
কিতন্তু কেউ আদৌ শুনতে পায় বলে মনে হয় না
অথবা শুনেও শুনতে পাচ্ছে না এমন ভান করছে তারা,


আমি ওদের আর কিছু বলি না
কেন না আমি নিজেই এখন এক বিকেলের নদী হয়ে গেছি।
৩১.৫.১৭