রাত নেমে এলে তুমি নারী
হয়ে ওঠো এক নান্দনিক-ঘাতক
কী দারুণ নিখুঁতভাবে
অন্ধকারের চাদরের তলে
প্রয়োগ করে হত্যার সুত্রাবলি


যে গাঙে নিথর জল
সেখানে উথাল পাথাল হয়ে ওঠে
পারফিউম-ঢেউ
মাতাল ঘ্রাণ তার
চর ভাঙে
পাড় ভাঙে
বাড়ি-ঘর ভেঙে সব
করে ফেলে বিরাণ জমিন


শান্ত নরম রোদে
যে তুমি লাজুক লতা
নিশ্বাসে গুটিয়ে নাও নিজেকে তোমার
অবগুণ্ঠন তলে
সেই তুমি আঁধারের আহ্বানে
নেচে ওঠো তা থৈ তা থৈ
অবগুণ্ঠন উড়ে যায় নূপুরের তোড়ে


যে তুমি মায়াবী হরিণী
অথবা মাঠের সবুজ চিরে
বয়ে যাওয়া শান্ত নদীটি
সে তুমি কোন মন্ত্র বলে
কোন ছলে
হয়ে ওঠো প্রিয় হন্তারক
সে রহস্যের আকাশ ফুঁড়ে
জানি কোনো কালে উঠবে না চাঁদ


কেন জানি না -
তোমার হাতে খুন হবো বলে
তোমার হাতে পুনর্জন্ম নেবো বলে
শীত-পাখিদের মতো
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে
প্রতিরাতে আমি
ঘরে ফিরি ঘোর অন্ধকারে ।


২৫/১/১৭