আমার চোখদুটো ছলছল করে উঠেছিলো,
টলটলে অশ্রু টলমল করে উঠেছিলো মুক্তির উচ্ছ্বাসে
কিন্তু আমি নির্মম স্বৈরাচারী শাসকের মত
দমন করেছি তাদের মুক্তির মিছিল ।
কারণ অবহেলা বা লাঞ্ছনা যতই তীব্র হোক
ছেলেদের কাঁদতে নেই ।


চির-যুদ্ধংদেহী কালপুরুষ কখনো
মেঘের আড়ালে হারিয়ে, লজ্জিত হয়না ।
বরং বিপুল বিক্রমে মেঘের পরদা ছিঁড়ে
বেরিয়ে আসে পুনরায় ।
তারমতোই আমি আঘাত করব তোমায়।
আর এক এক আঘাতে দূর করে দেবো
তোমার যুগ যুগান্তরের ঘূম ।


আমার গিটারে আর ণীলানঞ্জনার সূর বাজেণা
অথচ কথা ছিল আমাদের বাসরের পানীয় হবে
জোছনা আর গিটারের ককটেল ।
চাঁদের আলোকেও এখন অনেক ম্লাণ লাগে
তবে আমি এখন মোমের আলোতে নিঃশ্বাস নিতে পারি
ঘণ্টার পর ঘণ্টা .........।


সূর্যের আলো মাথা ঠুকে মরে আমার পূড়ে যাওয়া ত্বকে
তাই চাঁদ বা সূর্যের সংশ্রব ছেড়ে
আমার আকাশ কুসুম কল্পনাগুলো এখন
মাথা গুঁজেছে নিঝুম, নিথর, প্রশান্ত আকাশ পেরিয়ে
বহু বহু দূরে কোথাও .........।