উত্থানের নিশ্চয়তা নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা
একটি প্রশ্ন জেগে উঠল আড়মোড়া ভেঙ্গে ।
নিছক বেড়াবার উদ্দেশ্যেই
বৈকালিক ভ্রমণে বেড়িয়েছিল শব্দ।
নীল আর উঁচু এক পাহাড়ের চুড়ায়
দেখা হোল শব্দ আর প্রশ্নের ।
প্রকম্পিত হোল চতুর্দিক ।
উচ্চারিত হোল , “ ইন্দ্রিয় কী ?”
উত্তর এলো দিকহীন দিগন্ত থেকে ।
তুমি তোমার যেসব প্রত্যঙ্গ দিয়ে এই জগতটাকে বুঝতে পার
গ্রহণ কর সকল সংবেদন ... সেগুলোই তোমার ইন্দ্রিয় ।


নতুন করে জেগে উঠলো নতুন এক প্রশ্ন ...
জগতটাকে তো আমি বুঝতে পারি আমার অন্তর দিয়ে ।
তবে কী আমার অন্তরটাও একটা ইন্দ্রিয় !!
নাকি এটা সকল ইন্দ্রিয়ের মিলনকেন্দ্র ?
আর অন্তর তো কোন প্রত্যঙ্গ নয়
তাহলে কেন ইন্দ্রিয়ের সংজ্ঞা হোলো এমন?


ইন্দ্রিয়জ এসব চিন্তা থেকে নিষ্ঠুরভাবে অর্ধচন্দ্র সমেত
বিদায় নিতে বাধ্য হলাম কর্মক্ষেত্রের ডাকে ।
যদিও কর্মক্ষেত্রের ডাক আমার অন্তরকে
পুলকিত করতে পারেনা ... তবুও ...
একটা রোদেলা দিনের আশা আমায়
তাড়িয়ে বেড়ায় আজ থেকে আগামীকালে ...।।