মাথায় রোদের টোপর নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি ।
আমাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে শীতল অবসর।
কাঁচের পেয়ালা ভাঙ্গার ঝনঝন শব্দ...
আমার স্নায়ুগুলোকে ক্লান্ত করে তোলে ।
তবু আমি ঘুরে বেড়াই এলোমেলো ...
বিক্ষিপ্ত, বিপর্যস্ত কখনো দিকভ্রান্ত হয়ে ।
“দিকভ্রান্ত” শব্দটা অবশ্য আমার জন্য
কতটা প্রযোজ্য, এ ব্যাপারে আমি অনিশ্চিত ।
সুনির্দিষ্ট গন্তব্যের দিক যার জানা ...
কেবল সেই পারে দিকভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কাকে
অনুভব করে জর্জরিত হতে ।


কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধশেষে জলধরের অসহায় পরাজয়
আমাকে ভাবিয়েছে অনেক বার ...
দুর্যোগ কিংবা দুঃশাসন আসেনি
আমার ভাবনায় এতবার ।
যুধিষ্টিরের সত্যবাদিতা আর শকুনি’র শঠতার
সমান্তরাল দৃশ্য, আমাকে কৌতূহলী করে তোলে
“বাল্মীকি” নামের মানুষটির ভাবনার বিষয় সম্পর্কে ।


“প্যারিস” এর সমস্ত কাপুরুষতা...
যদি নিজের মধ্যে কেউ খুঁজে পায় ...
তবে শক্তিমত্ত “থর” এর মত তার ছায়া
কোনোদিন পড়বেনা “বৃহস্পতির” গায় ।
এই ভাবনা যখন আমাকে হতাশ করে তোলে
তখন মনের গহীনে একটা বিচিত্র অনুভুতি হয় ।
যতই তার কাছে যেতে চাই ততই  সেটা
“ঘৃণা” হয়ে মিলিয়ে যায় ।