অনেক কান্নার পর একদিন আমার চোখ শুকিয়েছে ।
অনেকখানি বেদনার নির্যাস শক্ত হয়ে-
জমাট বেঁধেছে বুকের বাম পাশটায় ।
তাই বেদনার ঠোকর এখন আর
ক্ষত সৃষ্টি করতে পারেনা আমার পাথুরে হৃদয়ে ।
আকাশের নীল ক্যানভাসে, মেঘগুলো যখন
প্রাগৈতিহাসিক কোন সুপুরুষের ছবি আঁকে –
আমি তখন সেই পুরুষের পৌরুষে উদ্দীপ্ত হতে গিয়ে
বুঝতে পারি, ‘পৌরুষ’, ধারের অযোগ্য ধারনা ।


মৃত্যুর মত অবশ্যম্ভাবী ব্যাপার আমাকে যতটা বিচলিত করে
তার চেয়ে অনেক বেশি অস্থিরতা আমার মধ্যে তৈরি হয়
দৈনন্দিন জীবনের অনেক তুচ্ছ ঘটনায় ।
একজোড়া ধারালো চোখের তীব্র দৃষ্টি-
আমার হৃদস্পন্দন থামিয়ে দিয়েছে অনেকবার ।
কিন্তু মৃত্যুর সাথে সেই দৃষ্টির কোন মিল আমি খুঁজে পাইনি ।


মহাকাল যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে
ঠিক একই গতিতে আমার কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে
আমার, একান্তই আমার সময়গুলো ।
যদিও, “আমার সময়” বলে কিছু নেই
বরাবরের মতো এখনো কেবল আমিই সময়ের ।