চাহিদাগুলোর মধ্যে পরিবর্তন আসে
প্রতিনিয়ত । নিয়মিত । প্রতিক্ষণ ।
ছেলেবেলায় চাহিদার সুর বাজতো
রঙিন মোড়কের চকোলেট অথবা বাহারি
কৌটার ভেতর বর্ণীল মার্বেলের মধ্যে ।
তারপর একদা, যেটাকে সবাই কৈশর বলে
সেই সময়টায় বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে
সবকিছুকেই কেন যেন একেবারেই অর্থহীন মনে হত।
তারপর একসময় আমার সব চাহিদা
রূপান্তরিত হল স্বাধীনতা নামের-
সাদা রঙের কোমল পালক সমৃদ্ধ কবুতরে ।


তোকে চেয়েছিলাম খুব করে।
আর তুই গিয়েছিলি চুপ করে।
রাজহাঁসগুলো এখনো তারস্বরে-
কর্কশ শব্দ করে ঘুরে বেড়ায় তোদের উঠানে ।
আমি আমার রাস্তা বদলেছি অনেক আগে।
তোকে দেখার সাধ নিয়ে এককালে যে রাস্তায়-
বসে দেখতাম সূর্যটার পূব থেকে পশ্চিমের দিগন্তে
বিলীন হয়ে যাওয়ার দৃশ্য-
সে রাস্তার ধারে তোদের বাড়িটা
এখনো তোর নাম লেখা একটা কাঁটা হাতে-
আমার অপেক্ষা করে।
দেখতে পেলেই খচ্ করে গেঁথে দেয়-
বুকের বাম পাশটার একটু নিচের দিকে ।


আজ আরেকবার পরিবর্তিত হল আমার
চাহিদার প্রকৃতি ।
আজকের আকাঙ্ক্ষা যেমন আগামীকাল
অনীহার কারণ হয়-
তেমনি কোন চাহিদাই বস্তুত
জরুরী নয় ।