এখানে ঘুরে বেড়ায় বাতাস
সেই বাতাস, যে বাতাস সহস্র শতাব্দী-
কোন আলোর ছোঁয়া পায়নি।
স্থির নিস্তরঙ্গ অন্ধকারের ভেতর
সে কেবল আলোড়িত হয়।
গুমরে উঠে শব্দ করে দীর্ঘশ্বাসের।
যদিও সেই শব্দ মিলিয়ে যায়,
কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না ঘটিয়েই।


বাতাস স্বপ্ন দেখে, সে একদিন
বেড়িয়ে যাবে তাকে আটকে রাখা
পাহাড়ের বুক চিড়ে বিশুদ্ধ আক্ষেপ হয়ে।
এসব উদ্দাম কল্পনাগুলো নির্ভেজাল-
অর্থহীনতায় ডুব দেয়, যখন
পাহাড় ধসে পড়ে আর
জন্মান্তরের বন্দী বাতাস পায় নিঃশর্ত মুক্তি।


সুবিস্তৃত মরুভূমির উত্তপ্ত বালির উত্তাপ
অথবা সুশীতল ঝর্ণাধারার ফাঁক দিয়ে
প্রবাহিত হওয়ার সময় সেই বাতাস
টের পায় তার বিষন্নতা।
যে বিষন্নতা তাকে মনে করিয়ে দেয়,
সেই পাহাড়ের কথা-
যে তাকে একদা আটকে নয় আগলে রেখেছিলো...