এমনি কত তরুন অর্থের দায়ে কিক্রি করে দেয়
তার জাগ্রত স্বচ্ছ যৌবন-
জল ঝড় রৌদ্র আটকানো ভাঙ্গা ঘরে বোসে,
কত বসন্ত আমিও পার করে দিয়েছি নিরবে
তোমায় না জানিয়ে অন্ধকারে।
চেতনায় সাড়া পেয়েছিলাম তার;
তবু নিরব থেকেছি- বারোয়ানা বেঁচে দিয়েছি তারে
খুব অল্প মূল্যে- কুঁড়ে ঘরের আড়ালে।


প্রেম-প্রীতি-স্পৃহা জানাইনি তোমাকে;
তুমি আসবে না জানি এখানে।


অভাবের দায়ে জীবনের মর্ম কথা
এখানে ব্যর্থতায় ইতিহাস হয়ে যায়-
আর হৃদয়ের স্পৃহা ঘুমিয়ে পড়ে ক্ষুধার জালায়,
এক শাশ্বত নিয়মে।


তবু কোনো বসন্তে তার টের পাই
কোকিলের কূহৃ সুরে; নইলে ফুলের গন্ধে-
কেউ ফিরবে বলে পথ চেয়ে থাকি
কুঠুরির ধূসর আঁধারে চোখ তুলে।
তাকে দেখো বলে দেখার নেশায়
লম্ফের লালিমাভরা ক্ষীণ জোৎস্নায়-
দেখে সহসা য চমকে উঠবো এ নিরালায়।


কিন্তু তোমাকে আস্তে দিতে ভয় করে এখানে
এই সংগ্রামে জয়ী হতে পারবে না তুমি।
এখানে তীব্র গতিতে জরা নেমে আসে
যৌবন প্রৌঢ় বার্ধক্য মিশে হয় একাকার।
আর জীবনের ছন্দে লয়ের অভাব পড়ে রয়-