আজো জনস্রোতে পদাঘাতে আর্তনাদ
ধুলোমাখা বিষর্ষ মানুষের হাহাকার।
আজ নেই জমিদার-জোতদার শ্রেণী
রয়েগেছে তবু সেই জ্যাকোবিন দল-
ফ্রান্সের পরে আজ ভারতে এরা,
নির্বাধে ফুলে ওঠেছে রক্তখেয়ে।
দিন শেষে গোধূলি রাঙা হয়
শ্রমীক মজুর গরিবের রক্তে।
গণতান্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্রের জিঘাংসা
রাজনীতির গোপন শিখরে শয্যায়।
রক্তাক্ত রাজনীতি মানবতাকে
করে বারে বারে কুঠারাঘাত।
তবু জনস্রোতে জনমানসে
শ্লোগানের পর শ্লোগান ওঠে;
মিথ্যে প্রতারকের কন্ঠে।
বিদ্রোহ ধর্মঘট রক্তাভ পথে
উন্মাদনা চলে আবিরের রঙে,
মদ্যপানের জয়োন্মত্ত দল।
নিঃশব্দে নিরবে দুঃসহ যন্ত্রণায়
মরণোন্মুখ সমাজ।
নীতিহীন আইন, সংবিধান
এদের শৃঙ্খলে বদ্ধ।
খাঁকি উর্দি বিক্রি সংকীর্ণ স্বার্থে
অবাধে ঘুষের কারবার পথপ্রান্তরে।
এদের সংবিধান লিখেছে
শুধু রক্তক্ষয়ের কথা,
লিখা নেই কোনো সহানুভূতি ,
সহযোগিতার কথা।
বিংশতাব্দীর আধুনিকতা জ্বলে
বুভূক্ষ ভবঘুরের ঘরে ঘরে।
রাজপথে ফুটপাতে শীর্ণকায় দেহ
মিট মিট  চায় ক্ষুদা আর যন্ত্রনায়।
তবু এরা শক্তিমান,কঠিন-
এদের সনিত প্রবাহ জাগে
লক্ষ্মী-তাতিয়া-কুনওয়ারের শৌর্যে।
এখনো কেন তবু স্তব্ধ-?
মারনশেল ছাড়ো-বিদ্রোহ হানো-
পথ প্রান্তরে জ্বলুক আগুন
বহ্নিশিখা উড়ুক ওদের সম্মুখে।
এই শতাব্দী হোক ভস্ম,
ফিরুক বিদ্রোহ ১৮৫৭-