বহুদূরে অন্ধকার বিস্তীর্ন মরুতটে
আমায় একাফেলে চলে গেলে,
এখানে নেই কোনো;
মনভালো করা পক্ষীসাবকের গান।
ব্যাপ্ত আকাশ হতে পড়ে না;
একটি ফোটাও তৃষ্ণার জল।
ধুলুন্ঠিত যুবকের মর্মে
জাগে না ফিরবার স্বপ্ন।
এখানে বিরহের অশ্রু ঝরলে
দেয়না কেউ মুছিয়ে;
অনর্গল বয়ে যায়
নিরাশার বিরহস্রোতে।
তোমার মিথ্যা স্বপনে নিদ্রিত
জীর্ণ যুবকের দেহে
কেউ দেয়না নাড়া এখানে
দুহাতে অন্নভরা পাত্র নিয়ে।
তোমায় লেখার ব্যাকূলতাকে
নিবারিত করে না কেহ,
এ আমার মরুভূমি গৃহে
শান্তনার মর্মস্পর্শি ভাষনে।
রাত্রি আকাশে চাঁদ ওঠে
সেও আমার সাথে খেলা করে
পূর্ণিমার চাঁদের মধ্যে;
তোমায় দেখতে পাই বলে।
সেও লুকিয়ে পড়ে সেদিন;
অভিনয় ছলনার ঘন গহ্বরে
তোমায় সোহাগ নয়নে দেখবো বলে।
তবু আমি এখনো বেঁচে;
মৃতপ্রায় জীর্ণ দেহ নিয়ে,
এই মরুভূমির চরে
তোমার প্রেমের নির্বাসনে।
অহর্নিশি বালুকারাশির লহরি স্রোতে,
আমায় গ্রাস করছে এখানে
মরুভূমির ভূতলে নিচ্চে টেনে।
একদিন সম্পূর্ণ করবে গ্রাস
মৃত্যু হবে দেহের,
পড়ে রবে কোমল ভালোবাসা
তাই দিয়ে করবে প্রিয়া
আমার অন্তেষ্টিক্রিয়া।