আমার জঠরে আছে সৃষ্টির জরায়ু
আর-আজন্ম পৃথিবীর প্রানবায়ু-
অনন্ত কাল ধরে অসংখ্য প্রানের জনয়ীত্রি
তবুও থেকেছি লোক চক্ষুর আড়ালে আমি।
প্রতিকার হেয় গ্লানী আমার বক্ষস্থলে
                          অবিরাম খেলা করে।
সুশোভন পৃথিবীর প্রতিটি অনু
প্রতক্ষে পরক্ষে আমারই অবয়ব রেনু;
আবহমান কাল ধরে-রক্তের নির্জাসে
অগনন শতাব্দীকে রেখেছি বাঁচিয়ে।
প্রতিদিন অলিক হাঁসির আড়ালে
সনাড়ীজাত শিশু দের রেখেছি কুশলে।
রাতের অন্ধকারে ক্ষুব্ধ নাইট্রোজেন ছাড়ি
তথাপি সংগোপনে সদা নিজেকে শান্ত করি।
সৃজনের প্রদ্বীপ জালিয়ে রাখি-
রচিত হয় ঋতুদের অব্যাহত গতি
মেঘেদের কর মুষ্টি থেকে ছিনিয়ে আনি বৃষ্টি
সূফলা শ্যামলী শষ্যের আঁধার
ভরিয়ে দিই সমস্ত জলাধার।
আজন্ম পৃথিবীর সময় গ্রন্থির সভ্যতা
আমার কোলে খেলা করে-আমি তার মাতা-
নেই তবু স্বীয় সন্তানদের বুকে আঁকা
আমার স্নেহ ভালোবাসার জয়গাঁথা।
একদিন আমার মৃত্যু হবে
নির্জন এই স্থবির পৃথিবীতে-
সীমাহীন সবের ওপরে সেদিন
মড়কে মড়কে শোধ করবে তারা সৃষ্টির ঋন।