আমি দূর থেকে সেদিন দেখলাম নীলা তোমাকে
অন্তরালের গভীর অন্ধকারে দাঁড়িয়ে-
দূরন্ত হাওয়ায় ভেসে আসছে চেনা গন্ধ
অনুভূতিরা চিৎকার করে উঠছে- স্মৃতিরা নেশাগ্রস্থ।
আমার চোখের বর্ষা স্তব্ধ সুদূর আকাশ থেকে
ঘন তরল গোধূলি রক্তিমা গড়িয়ে পড়ছে দেখি
তোমার ঠোঁট থেকে চিবুকের দিকে।
রাত জাগা চোখের নীচের সঞ্চিত সব কালি
যেন বিনম্র ভাষায় সংগোপনে তুলে নিয়েছে
তোমার কাজলের তুলি।
কয়েক টা বসন্ত সম্মিলিত ভাবে এসে
দেখলাম তীব্র যৌবনের কাঙ্ক্ষিত লালসা
মৌন ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে তোমার বনানী হৃদয়ে;
আর নীল- শাড়ি টা- অদৃশ্য আবরনে সুন্দর ভাবে
বিস্তার করে নিয়েছে নিজেকে মুক্ত স্বচ্ছ নীলাকাশে
স্বতন্ত্র- এক মেরু থেকে বিচ্ছিন্ন মেরু তে
প্রচন্ড কালো কাল বৈশাখী ক্ষিপ্ত মেঘের থেকে।
বুক থেকে সিতি, কানে- হাতের চূড়িতে
অসাধারণ স্বর্নালী আভায় বিদ্যুৎ দিচ্ছে যেন
আমার নীড় ভাঙা ঝোড়ো মেঘের কিনারে।
ভীড়ের মাঝে আলোরা ব্যথা বাড়াচ্ছে ইশারাই
যন্ত্রনার চিৎকার নিয়ে বিসমিল্লাহ বাজাচ্ছে সানাই
আমার বুকে শব্দ রা করছে নিমগ্নে শুধু ক্ষয়
প্রতিক্ষা বিনাশের গোধূলি লগ্নে তোমার শুভপরিণয়।