সামনের পিচ রাস্তায় দুচোখ রেখে
গাড়ি বারান্দার রেলিঙে মাথা রেখে,
               ঘুমিয়ে গেছে মেয়ে ।
সাদা রঙের ফ্রকে ওকে সুন্দর লাগে
ঠিক যেন একটা উড়ন্ত প্রজাপতি,
        মুখ ঢেকেছে মাথার চুলে ।
ওই পথ দিয়েই বাবা মা আসে
বাবা একটা ছবি বাঁধিয়ে আনবে,
     মা জুইমালা নিয়ে আসবে ।
ব্যস্ত রাস্তায় কেউ যায় কেউ আসে
গতবারে ও দাদু ছিল ওর পাশে,
       আজ আর সে কাছে নেই ।
ছবিটা হটাৎ হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গেছিল
সাদা দাড়ি গোঁফে আতঙ্ক ফুটেছিল,
দাদু বলছিল -বু ... বুঝতে পারিনি ।
যে গানটা যত্ন করে সেই শিখিয়েছিল
সেদিন সেই গানটা মেয়ে গাইতে পারেনি,
       দাদুর চোখ জল ছিল কিনা?
তারপর দাদু কোথায় যে হারিয়ে গেল
মা বাবা প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি,
        নতুন গানও তোলা হয়নি ।
হটাৎ দাদু মেয়েকে ঘুম থেকে জাগায়
ধুপ চন্দন জুইফুলে ছবিখানি সাজায়,
    দিদিভাই সেই না গাওয়া গানটা।
জানিস আজ ২২ শে শ্রাবণ,
          আজ শুধু কবিগুরু
আমার ছুটি ফুরিয়ে যাবে,
দিদিভাই গান কর শুরু ।
‘’গাইবনা যাও, এতদিন কোথায় গেছিলে
এঘর ওঘর সেঘর তোমায় কত কত খুঁজেছি ।
অভিমানে চুপ করে যেতে হ্য় বুঝি,
ঠিক আছে গাইছি আজ’তো ২২ শে শ্রাবণ ।  
    ( যে রাতে মোর দুয়ারগুলি )